টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হারটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনকই বলা চলে। কারণ দলটা যে বাংলাদেশের চেয়ে র্যাংকিংয়ে দশ ধাপ পিছিয়ে।
১৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকেন স্বাগতিক দলের দুই ওপেনার। ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারালেও রানের গতি সচল থাকে তাদের। ওয়ান ডাউনে নামা গোউসও সহজেই বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছিলেন। তবে স্কোর বড় করতে পারেননি। তাকে ফেরান রিশাদ। স্বল রানে আরও দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। সেই চাপ সামাল দেন কোরি এন্ডারসন আর হারমিত সিং। শুধু চাপই সামলাননি। নিশ্চিত করেছেন দলের জয়ও। এন্ডারসন ৩৪ আর হারমিত অপরাজিত থাকেন ৩৩ রানে।
যে দল নিয়মিত টি-টোয়েন্টি খেলে না, তাদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে রান করতে খানিকটা বেগ পেতে হয়েছে দুই ওপেনারের। ফর্ম ফেরার জন্য মাটি কামড়ে থেকে খেলার চেষ্টা করলেন লিটন দাস। দুইবার জীবনও পেলেও ইনিংসটা বড় করতে পারলেন না। ১৫ বলে ১৪ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন।
আরেক ওপেনার সৌম্য টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিংটাই করছিলেন। তবে ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। টানা দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সফররতরা। এদিন সুবিধা করতে পারলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তও। মাত্র ৩ রান করেই উইকেট দেন টেইলরকে।
পরে তাওহীদ হৃদয় আর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ মিলে ইনিংসের হাল ধরেন। ৪ চার আর ২ ছয়ের বিনিময়ে ম্যাচে ফিফটি হাঁকিয়েছেন হৃদয়। তাকে সঙ্গ দেয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইনিংসটাও বাংলাদেশকে দেড়শোর কোটা পার করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ২২ বলে ৩১ রান করেন সাইলেন্ট কিলার খ্যাত এই ক্রিকেটার। মূলত দুই ব্যাটারের ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে ১৫৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। যে স্কোর জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।