স্কুলের ঘণ্টা নেই, প্রতিদিনের নিয়ম মেনে ক্লাসে শিক্ষকের শাসন-বারণ ছিলো না। এছাড়া কোচিংয়ের বাড়তি চাপও ছিলো না। সবকিছু ছুটি দিয়ে আজ (শনিবার, ১৮ মে) বগুড়ায় আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামে ব্যাট-বল হাতে আজকের দিনটি শুধুই শিশুদের ছিলো।
এক শিশু বলে, ‘আজ খুব ভালো লাগছে। এতো সুন্দর মাঠে ব্যাট-বল করলাম। আর স্কুল-কোচিংও ছিলো না, সারাদিন আমরা খেলেছি।’
ক্রিকেট কার্নিভালের জার্সি গায়ে জড়িয়ে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবারের পর বিকেলের নাস্তা, এই আয়োজনে সবই ছিলো। দিনব্যাপী শিশুদের ক্রিকেট উৎসব অভিভাবকরাও উপভোগ করেন।
অভিভাবকরা বলেন, ‘পড়াশোনার ফাঁকে বাচ্চাদের খেলার আয়োজন, এটি খুবই ভালো লাগছে। বাচ্চারাও খেলতে পেরে ভীষণ খুশি। প্রতি বছর এমন আয়োজন হলে বাচ্চারা খেলার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে।’
২০১২ সালে প্রথম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উদ্যোগে শিশুদের এই ক্রিকেট উৎসব শুরু হয়। এরপর গত আট বছর ধরে জেলা ক্রীড়া সংস্থা নিজস্ব আয়োজনে এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মিলন বলেন, ‘আমরা যদি ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে না পারি, তাহলে আমাদের ন্যাশনাল টিম ডেভেলপ হবে না। আমরা চাই, বাচ্চারা খেলার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠুক।’
উৎসব শেষে এদিন বিকেলে অংশগ্রহণকারী দুই শতাধিক শিশুর হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়।