বাংলাদেশের ক্রিকেটের সময়ের সেরা ১৫ ক্রিকেটার মাতাবেন বিশ্বকাপ মঞ্চ। অতীতে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা নিয়ে কতো নাটক হয়েছে। এবার তেমন জল্পনা কল্পনা না হলেও, সাইফউদ্দিনের দলের সুযোগ না পাওয়া নিয়ে হচ্ছে আলোচনা সমালোচনা। শুধু তাই না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫টি টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্স দেখে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করে ক্রিকেট বোর্ড। সেই দলে ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তাকে একটি ম্যাচেও খেলানো হয়নি। তাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন তুললেন খোদ বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।
তিনি বলেন, 'যদি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খেলানো হতো বা সমান সুযোগ দিলে ভালো হতো। যেমন আফিফকে দলে নেওয়া হলো, কোনো ম্যাচ খেলানো হলো না। বাদ দিয়ে দেয়া হলো। একটা ছেলেকে না খেলিয়ে বাদ দেয়াটা ঠিক না।'
খালেদ মাহমুদ সুজনের ভাবনার জায়গায় আরও একজন আছেন। তিনি হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের সেরা ফিল্ডার, টপ অর্ডার থেকে মিডল কিংবা ফিনিশিং সব জায়গায় কার্যকরী ব্যাটার। বোলিংয়েও দারুণ সব মিলে দুর্দান্ত এক অলরাউন্ডার। এমন ক্রিকেটার মূল দল তো দূরে থাক রিজার্ভ বেঞ্চেও জায়গা না হওয়ায় সুজনের মতো বিস্মিত জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
তিনি বলেন, 'মিরাজকে আমি মিস করবো। ওর শুধু ব্যাটিং বোলিং এ্যাবিলিটি দারুণ তা না। ওর মধ্যে ফাইটিং ব্যাপারটার জন্য। এই জিনিসটার যথেষ্ট অভাব আমাদের দলে আছে।'
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ১৫ সদস্যের বাইরে যে কয়জন ক্রিকেটার বিশ্বকাপ দলের সাথে যাবেন। উক্ত ক্রিকেটারদের সার্বিক খরচ বহন করবে সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। অন্য দেশগুলো যেখানে ৪ থেকে ৫ জন পর্যন্ত ক্রিকেটার রিজার্ভে রেখে হিসেবে বহন করছে। সেখানে বিসিবি নিয়েছে ২ জন ক্রিকেটার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রিকেট বোর্ড অন্তত ৪ জন রিজার্ভ ক্রিকেটার নিতে পারতো বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সাথে।