সিলেট টেস্টে যে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে, তা বুঝতে ক্রিকেট বোদ্ধা হতে হবে না। স্কোরবোর্ডে তাকালেও বিষয়টি পরিস্কার বুঝা যাবে। ম্যাচ হারের পর ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পরের ম্যাচে ভালো কিছু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরইসঙ্গে প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করার কথাও জানিয়েছিলেন।
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। লঙ্কানদের পাহাড়সম স্কোরের বিপরীতে টাইগার ব্যাটাররা বলার মতো কোন পারফর্ম করতে পারেননি।
গত ম্যাচের মতো আবারও ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মাত্র ১ রান করে প্রবথ জয়াসুরিয়াকে উইকেট দিয়েছেন তিনি। অনেক দিন পর টেস্টে ফিরেছেন সাকিব। চট্টলার ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচে বোলিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিলেও ব্যাটিংয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ক্রিজে সেট হয়ে ১৫ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন।
সবশেষ ম্যাচে লিটনের আউট নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। সেই সমালোচনার রেশ না কাটতেই আবারও ব্যর্থ লিটন দাস। মাত্র ৪ রান করেই বিদায় নেন ফার্নান্দোর বলে।
শাহাদাত হোসেন দিপু আর মেহেদী মিরাজরা ত্রিশটির বেশি বল খেলেছেন। কিন্তু ইনিংসের হাল ধরতে পারেননি। রান দুই অঙ্কের কোটা না পেরুতেই তারা প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন। সিলেটে উল্লেখযোগ্য পারফর্ম করা মুমিনুল এ ম্যাচেও চেষ্টা করেছেন। তবে তার সেই চেষ্টা বিফলে গেছে। ৩৩ রান করে ইনিংস থেমে যায় টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটারের।
ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলের দিনে ফিফটি হাঁকিয়েছেন ওপেনার জাকির হাসান। যদিও প্রতিপক্ষের রান বন্যার বিপরীতে এই ফিফটি কোন কাজে আসেনি।
এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের ধারা যদি দ্বিতীয় ইনিংসেও ধরে রাখে বাংলাদেশ, তাহলে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া যে সময়ের ব্যাপার মাত্র।