ক্রিকেট
এখন মাঠে
শ্রীলঙ্কার চেয়ে ৪৭৬ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনশেষে শ্রীলঙ্কার চেয়ে ৪৭৬ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ক্যাচ মিসের মহড়ার দিনে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংস থামে ৫৩১ রানে। তৃতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৫ রান।

চট্টগ্রাম টেস্টে রানের পাহাড় গড়তে যাচ্ছে লঙ্কানরা, সেই আভাস মিলেছিল প্রথমদিনই। বাংলাদেশি ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়া যেন তা আরও সহজ করে দেয়। সুযোগ পেয়ে ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে রান বন্যা বইয়ে দিয়েছেন সফররত ব্যাটাররা।

তাদের ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে ৫৩১ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। মাদুশকা থেকে শুরু করে কামিন্দু মেন্ডিস। অভিজ্ঞ ম্যাথুস বাদে প্রত্যেকেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। কুশাল মেন্ডিসের মতো নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হননি কামিন্দু মেন্ডিস। কিন্তু আক্ষেপটা হয়তো কুশালের মতোই থাকবে। কারণ সঙ্গ দেয়ার মতো কেউ না থাকায় ৯২ রান করেই সন্তষ্ট থাকতে হয় তাকে।

কোনো লঙ্কান ব্যাটার তিন অঙ্কের কোটা ছুঁতে না পারলেও হয়েছে বিশ্ব রেকর্ড। লাল বলের ক্রিকেটে শতক ছাড়া এটিই দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ভারতের দখলে।

সফররতদের রানের পাহাড়ের ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে ভালো বোলার ছিলেন সাকিব আল হাসান। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার নিয়েছেন ৩টি উইকেট। কুশাল মেন্ডিস আর চান্ডিমাল ছাড়াও তার স্পিনে কাবু হয়েছেন প্রবথ জয়াসুরিয়া। আর অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ প্রথমদিনে দুই উইকেট শিকার করেই ক্ষান্ত গেছেন। তাছাড়া খালেদ আর মিরাজ নিয়েছেন একটি করে উইকেট। অবশ্য লঙ্কানদের দশ উইকেটের চারটিই হয়েছে রান আউট।

দ্বিতীয় দিনের শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে শান্তর দল। মাহমুদুল হাসান জয় আর জাকির হাসান ক্রিজে সেট হয়েছেন। তারা আভাস দিচ্ছিলেন বড় জুটির। কিন্ত তাদের ৪৭ রানের জুটি ভাঙেন লাহিরু কুমারা। ২১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জয়। পরে নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামানো হয় তাইজুল ইসলামকে। ওপেনার জাকির অপরাজিত আছেন ২৮ রানে। আর ক্রিজে থাকলেও রানের খাতা খোলা হয়নি তাইজুলের। 

ইএ