ঘরের মাঠে বাংলাদেশের মেয়েদের এমন বেহাল দশা শেষ কবে দেখেছেন ক্রিকেট ভক্তরা। দারুণ ছন্দে থাকা সেই বাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং টানা তিন ম্যাচে। প্রতি ম্যাচেই যেন কার আগে কে প্যাভিলিয়ানে ফিরবেন, ছিল সেই প্রতিযোগিতা।
হোক না প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, সাম্প্রতিক ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের মতো দলকে হারনো নিগারদের এমন পারফরম্যান্স অপ্রত্যাশিত। খুবই হতাশার। প্রথম ম্যাচে ৯৫ এরপর ৯৭ আর শেষ ওয়ানডেতে নিগারদের সংগ্রহ কেবল মোটে ৮৯ রান। দলের এমন করুন অবস্থায় বাংলাদেশ অধিনায়ক দুষছেন দায়িত্বহীন ব্যাটিংকে।
নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার যেভাবে ব্যাট করেছে প্রতিদিন আমরা পায়নি তাদের আসলে। তারা মাঠে থাকতে পারেনি। থাকলেও রান করতে পারেনি। তাদের পার্টনারশিপের দিকে কোনো ফোকাস ছিল না। কোনো রেস্পন্সিবিলিটি ছিল না।'
এতো বাজে পারফরম্যান্সের পরও সান্ত্বনার জায়গা থেকেই হয়তো অধিনায়ক জ্যোতি খুঁজছে বোলিং বিভাগে কয়েকজনের ব্যক্তিগত প্রাপ্তি। এলিসা হিলি, লিচফোর্ড, এলিস পেরি বেথ মুনিদের মতো ব্যাটারদের বড় স্কোর করতে দেয়নি নাহিদ-মারুফরা। অধিনায়কের কাছে এটাই সবচেয়ে ইতিবাচক দিক।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বোলার যারা ছিল ওরা ভালো করেছে। প্রত্যেকটা স্পিনার অনেক ভালো বল করেছে।’
অন্যদিকে, বাংলাদেশের মেয়েদের বিপক্ষে হেসে খেলে সিরিজ জেতা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার চোখ সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। কারণ, এই সফরে হিলি, পেরিরা বাংলাদেশের উইকেট ও কন্ডিশন সম্পর্কে পেয়েছে ভালো ধারণা।
অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার কিম গার্থ বলেন, ‘ যখনই সুযোগ আসে সেটা কাজে লাগানো উচিত। আগেও বলেছি, এই সিরিজের অভিজ্ঞতা আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের কাজে আসবে।’
৩১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে, সেখানেও এগিয়ে অজি মেয়েরাই।