হারটা চোখ রাঙাচ্ছিল তৃতীয় দিন থেকেই। মার্কো ইয়ানসেনের দুর্দান্ত স্পেলের পর ২৮৮ রানে পিছিয়ে ছিল ভারত। গৌহাটিতে ম্যাচটাও কার্যত শেষ হয়ে যায় সেখানেই। ৫ম দিনে ভারতকে ম্যাচ বাঁচাতে খেলতে হতো পুরো দিন। সামনে ছিল ৫২২ রানের পাহাড় পেরোনোর চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জটায় অবশ্য অনুমিতভাবেই হেরেছে টিম ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন:
দিনের শুরুতেই নাইটওয়াচম্যান কুলদীপকে সাজঘরে ফেরান সিমন হারমার। দারুণ এক বোল্ডে শুরু হয় বিপত্তির। একই ওভারে ফেরেন ধ্রুব জুড়েল। অধিনায়ক রিশাভ পান্থ চরম বিপদেও পারেননি নিজের ইনিংস বড় করতে। ক্রিজে ছিলেন ১৬ বল। ফিরেছেন হারমারের আরও এক অসাধারণ ডেলিভারিতে। এরপর জাদেজা আর ওয়াশিংটন সুন্দর ক্রিজে কিছুটা সময় পার করেছেন বটে, তবে সেটা ম্যাচ বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট হয়নি এদিন। শেষ ১০ রানের মাঝে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত দেখেছে ৪০৮ রানের হার।
২০০৪ সালে নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪২ রানে হেরেছিল ভারত। ২১ বছর পর সেই হারলেও এবার টপকে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সবশেষ ৭ হোম ম্যাচে গৌতম গম্ভীরের দল হেরেছে ৫ ম্যাচে। স্বাভাবিকভাবেই লাল বলের ক্রিকেটে গম্ভীরের কোচিংটাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
এই হারের পর ঘরের মাঠে এক বছরের মাঝে দুই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। শেষ পাঁচ সিরিজের মাঝে তিনটিতে এসেছে হার। আর ড্র করেছে এক সিরিজ। আর দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫ বছর পর ভারতের মাঠে প্রতিপক্ষকে করেছে হোয়াইটওয়াশ। ভারত অবশ্য ঘরের মাঠেই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে মাত্র ৩য় বারের মতো।





