দেশের ক্রিকেটে নারীদের জয়জয়কার। বিদেশের মাটিতেও একের পর এক সাফল্যে উজ্জ্বল নিগার-ফারজানারা। নারী ক্রিকেটের অগ্রযাত্রায় এবার যুক্ত হলো নতুন পালক। প্রথমবারের মতো বিসিবির সঙ্গে চুক্তিতে দুই নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি ও মিশু চৌধুরী।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বয়স ৫২ বছরের বেশি। দীর্ঘ এই সময়ে মাঠের আম্পায়ারিংয়ে পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ ছিলো ক্ষীণ। তবে এবার সেই অবস্থানে পরিবর্তনের আভাস বোর্ডের।
বিসিবি আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, 'আম্পায়ারিং পাস করেছে অনেকেই। কিন্তু ৬ জন প্রোডাক্টিভ। তাদের ও ব্যাপার আছে যে তারা এটা ক্যারিয়ার হিসেবে নেবে কিনা। যারা জাতীয় দলে খেলছে তাদের জন্য তো গৌরবের। তারা সরাসরি আম্পায়ারিং করতে পারবে। এ ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।'
পুরুষ ও নারী আম্পায়ারদের পারিশ্রমিকে পার্থক্য নেই বিসিবির নীতিমালায়। ঘরোয়া ক্রিকেটে পুরুষদের সমান দশ হাজার টাকা ম্যাচ ফি পান নারী আম্পায়াররা। এক্ষেত্রে আরও উন্নতির আশাবাদ জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি।
ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, 'আমাদের গ্রেডিং ছেলেমেয়েদের জন্য একই হবে। এখন যদি আপনি বি গ্রেডের আম্পায়ার হন, ছেলেরা যেসব ক্রাইটেরিয়া পূরণ করে এখানে আসতে হবে। মেয়েদের জন্যও তা একই।'
আম্পায়ারিংয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে নারীদের। যা অন্য যে কোন পেশার মতোই সম্মানজনক বলে মনে করেন আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি।
তিনি বলেন, 'বিশ্বকাপে এমনও হয় যে একেকজন প্রতি ম্যাচে ২ তেকে ৩ লাক টাকা করেও পাচ্ছে। একটা বা দু'টা বাইরের রড় ইভেন্ট করতে পারলে তা অনেক ভালো কাজে দিবে।'
ধীরে ধীরে দেশের আম্পায়ারিংয়ে বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ। সুযোগ পেলে একদিন বিশ্বকাপের মতো বড় আসরেও দেখা যাবে এদেশের নারীদের উজ্জ্বল উপস্থিতি। সেই সুদিনের অপেক্ষায় দেশের ক্রিকেট প্রেমীরা।