ক্রিকেট
এখন মাঠে
ক্রিকেট জার্সিতে ব্যতিক্রমী নাম্বার
ফুটবলের মতো ক্রিকেটে জার্সি নাম্বার অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এরপরও কেউ কেউ নিজের জার্সিকে মহিমান্বিত করে যান। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনির জার্সিটা যেমন।

পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলে দলের সেরা খেলোয়াড়ের গায়ে জড়াতে দেয়া হয় ১০ নাম্বার জার্সি। পেলে-ম্যারাডোনা থেকে শুরু করে হালের লিওনেল মেসিদের কারণে এই নাম্বারটা আইকনিক। আবার প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে ৭ নাম্বার জার্সিকে বিশেষ মর্যাদা এনে দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-ডেভিড বেকহ্যামরা।

ফুটবলের মত ক্রিকেটে অমন প্রচলন নেই। ফলে যে যার মত নিজের জার্সি নাম্বার নিয়ে নেন। অজি কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রার ১১, শেন ওয়ার্নের ২৩, বিরাট কোহলির ১৮ নাম্বার জার্সির উদাহরণগুলো টানা যায়। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ফুটবলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০ নাম্বার জার্সিটাকে ক্রিকেটেও মহিমান্বিত করে গেছেন খেলাটির সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় শচীন টেন্ডুলকার।

তবে ক্যারিয়ারের মাঝপথে এসে অনেকে জার্সি পরিবর্তন করেছেন এমন উদাহরণও আছে। যেমন ইউনিভার্সাল বস খ্যাত ক্রিস গেইল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বকালের সেরাদের একজন নিজের জার্সি নাম্বারটা করে নিয়েছেন ৩৩৩, যেটি তার টেস্টের সর্বোচ্চ রান। বিস্ময়কর ব্যাপারই বটে!

লঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরনও আইপিএলে ৮০০ নাম্বার জার্সি পরে খেলতে নেমেছিলেন, যেটি মূলত তার টেস্ট উইকেট শিকারের সংখ্যা।

তবে ক্রিকেটে সবচেয়ে আইকনিক জার্সিটা মাহেন্দ্র সিং ধোনির। ভারতকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, দুটো বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক জানিয়েছেন ৭ নাম্বার জার্সিটা বেছে নেয়ার কারণ।

তিনি জানান, ‘আমার জন্ম জুলাইয়ের ৭ তারিখ। জন্ম দিন আর মাসের সংখ্যাটা একই। আবার জন্মসাল ১৯৮১, ৮ থেকে ১ বিয়োগ করলেও হয় ৭। সব মিলিয়ে আমার জন্য সিদ্ধান্তটা নেয়া খুব সহজ ছিল। যখন আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, কত নাম্বার জার্সি নিবো, আমাকে বিন্দুমাত্র দ্বিধায় ভুগতে হয়নি।’

ধোনি এই গল্পে অনুপ্রাণিত হয়ে ভারতের আর কারো ৭ নাম্বার জার্সি গায়ে জড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের অবসরের পর তার জার্সিটাকেও অবসরে পাঠিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

ইএ