সেই ২০০৫ সালে দেশে নারী ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়। এরও দু'বছর পর ব্যাংককে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জার্সিতে নারীরা প্রতিনিধিত্ব করে। বেতন থেকে মাঠ সবকিছুতেই সমস্যা মেনে নিয়ে বাংলার ক্রিকেট কন্যাদের এগিয়ে চলতে হয়। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের দর্শকদের আনন্দ দেয় নারীরা।
তবে এতকিছুর মধ্যেও মাঠের বাইরে তাদের লড়তে হয়েছে বিভিন্ন সময়। দীর্ঘদিনের ক্রিকেটীয় যাত্রায় অনেক কিছুর সাক্ষী হয়েছেন রুমানা, জ্যোতিরা।
চলতি বছরের মার্চে প্রথমবারের মতো দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে অজি নারীদের মুখোমুখি হবে বাঘিনীরা। সে সময় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের প্রস্তুতিতে শান্ত, লিটনদের ব্যস্ততা থাকবে। নারীদের নির্দিষ্ট কোনো মাঠ না থাকলেও অনুশীলনে জটিলতায় পড়বেন না প্রমিলা ক্রিকেটাররা আশ্বস্ত করলেন গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম।
তিনি বলেন, 'একটি মাঠে পুরুষ এবং নারী উভয়েই খেলতে পারবে। অনুশীলনে কোনো জটিলতা থাকবে না।'
বিসিবি নারীদের জন্য আলাদা মাঠের ব্যবস্থা করতে না পারলেও বিশাল ব্যয়ে গড়বে ক্রিকেট একাডেমি। যেখানে নিজেদের সুবিধামতো অনুশীলন সারতে পারবেন সালমা,ফারজানারা।
মাহবুব বলেন, 'সিলেট ওবং চট্টগ্রামে একাডেমি করার জন্য বোর্ড থেকে একটা অনুমোদন আছে। তা আমরা ডিজাইন করছিলাম। আমাদের বাজেট বেশি হয়েছে এসব একাডেমি আকর্ষনীয় করে গড়ে তোলার জন্য।'
পুরুষের তুলনায় নারী ক্রিকেটের বয়স অনেকটাই কম। যে কারণে এখনও সেভাবে দেশের নারী ক্রিকেট জায়গা তৈরি করতে পারেনি। তবে দেশের নারীরা ধীরে ধীরে অনেকটাই এগিয়েছে বলে জানান মাহবুব আনাম। বলেন, 'দেড়শ' বছর ধরে যে খেলাটা শুধু পুরুষরা শিখেছিল। প্রথমদিকে যে নারীরা ক্রিকেটে এসেছিল তারা অনেক বাঁধা বিপত্তি আসছে। কারণ ক্রিকেট একটি সময় সাপেক্ষ খেলা, এটা থেকে তাদের একটা চিন্ত ছিল যে তারা ঘরসংসার করবে না কি মাঠে খেলবে। সেক্ষেত্রে আমারমতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট অনেক এগিয়েছে।'
কোনো রকম বাড়তি সুবিধা ছাড়াই এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নারীরা। তাতেই বোঝা যায় দেশের নারীরা পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ আর অনুপ্রেরণা পেলে হয়তো একদিন বিশ্বকে চমকে দিতে পারে। শিরোপা উল্লাসে মাতাতে পারে লাল সবুজের দেশের দর্শকদের। সে স্বপ্নই তো দেখে বাংলাদেশ।