যুদ্ধ মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে। ক্ষমতার দম্ভের কাছে চূর্ণ হয় মানবিকতার দেয়াল। হামাস-ইসরাইলের মধ্যকার চলমান সংঘাত ঠিক সেভাবেই গোটা দুনিয়াকে বিভক্ত করে তুলেছে।
ক'দিন আগে ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহত বেসামরিক জনতার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ক্রিকেটার ওসমান খাজা। বুটে লিখেছিলেন 'সব প্রাণেরই দাম আছে'। যদিও আইসিসির বাধায় ম্যাচে সে বুটজোড়া পরে খেলতে পারেননি খাজা।
ক্রিকেটে একই সংঘাত আবারও আলোচনায়। ইসরাইলকে সমর্থন দেয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা যুব দলের অধিনায়ক ডেভিড টিগারকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। গেল অক্টোবরে এক ইহুদি সংগঠন কর্তৃক উদীয়মান তারকা নির্বাচিত হওয়ার পর টিগার তার বক্তব্যে বলেন, 'আজ আমি তারকা নির্বাচিত হয়েছি তবে সত্যিকারের তারকা তো ইসরায়েলি সেনারা। আমি আমার পুরস্কারটা তাদেরকে উৎসর্গ করছি।'
তার এমন বক্তব্যের পর ফিলিস্তিনকে সংহতি জানানো একটি সংগঠন দক্ষিণ আফ্রিকা স্পোর্টস কনফেডারেশন এবং দেশটির অলিম্পিক কমিটির কাছে টিগারকে বহিষ্কারের আবেদন জানায়। তিন মাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানালো দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড জানায়, 'সবার নিরাপত্তার স্বার্থে ডেভিড টিগারকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে’।
বোর্ড এমন সময়ে তাকে সরিয়ে দিল যখন দেশটিতে বসতে যাচ্ছে যুব বিশ্বকাপের আসর। এ ঘটনার প্রভাব পড়তে পারে দলটির বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সেও।
তবে নেতৃত্ব থেকে সরালেও, প্রোটিয়া স্কোয়াডে আছেন ডেভিড টিগার।
এদিকে ফুটবলেও পড়েছে হামাস-ইসরাইল সংঘাতের প্রভাব। তুরস্কে খেলা ইসরাইলি ফুটবলার সাগিব ইহেজকেল পড়েছেন বিপাকে। গোলের পর উদযাপন করতে গিয়ে ১০০ দিন লেখা হাতের ব্যান্ডেজ প্রদর্শন করেন তিনি। সেদিনই হামাস-ইসরাইল সংঘাতের ১০০ দিন পূর্ণ হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করে ক্লাব আনতালোস্পিয়া।
তুরস্কের আইনমন্ত্রী জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে বিপদ আরও বাড়ার আগেই নিজ দেশে ফিরে গেছেন ইহেজকেল।