সালমান আলি আঘা বলেন, ‘যা হলো এটা ভুল। আমরা সবার রোল মডেল। ক্রিকেটারদের তো রোল মডেল হওয়া উচিত। মাঠে এগুলো হতে দেখলে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা কী শিখবে? এবার যা হয়েছে, খুব খারাপ। আমাদের অর্জিত ম্যাচ ফি ভারতীয় হামলায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে দান করবো।’
এশিয়া কাপ ফাইনালের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের ট্রফি না নেয়া নিয়ে মুখ খুললেন সালমান আলি আঘা। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন ভারতীয় দলের ট্রফি ছাড়া উদযাপন ক্রিকেটের জন্য অসম্মান। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটা বাজে উদাহরণ হয়ে থাকবে। সেই সাথে টুর্নামেন্ট থেকে উপার্জিত সব অর্থ ভারতীয় হামলায় আহত ও নিহতদের অনুদান দেবার সিদ্ধান্তও জানান সালমান।
ক্রিকেটের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটালো ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপ জিতেও ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। দুই দেশের বৈরী সম্পর্কে আগুনে ঘি ঢালেন ভারতীয় ম্যানেজমেন্ট।
পুরো টুর্নামেন্টেই অ-ক্রিকেটীয় আচরণে সমালোচনার জন্ম দিলো ভারত। রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের ট্রফিই নেয়নি ভারতীয় দল। ট্রফি দেওয়ার কথা ছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এর পাশাপাশি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও তিনি। সেই জেরে আরও একবার পাকিস্তানকে বয়কট করল ভারত। ট্রফি ছাড়াই উল্লাস করেন ভারতীয় ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা।
আরও পড়ুন:
ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন দল ট্রফি পাচ্ছে না, ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে জীবনে এমন ঘটনা আমি দেখিনি। তবে আমার মতে দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরাই আসল ট্রফি।’
এশিয়া কাপ ফাইনাল শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয়েছিল নাটক। ফাইনাল শেষ হওয়ার পর সকলের নজর ছিল কার হাত থেকে ট্রফি নেন সূর্যরা। খেলা শেষ হলেও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছিল না। ভারতীয় ক্রিকেটারেরা মাঠেই ছিলেন ঠায় দাঁড়িয়ে। পুরস্কার ছাড়াই উদযাপনে মেতে ক্রিকেটের স্পিরিটকেই বৃদ্ধাঙুলি দেখান সূর্যকুমার যাদবরা।
পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলি আঘা বলেন, ‘ভারত আমাদের সঙ্গে হাত মেলায়নি, মহসিন নকভির থেকে ট্রফি নেয় নি। ওরা আমাদের সঙ্গে যা করেছে তাতে শুধু আমাদের অসম্মান করেনি গোটা ক্রিকেটকে অসম্মান করেছে।’
খেলা শেষ হওয়ার সোয়া ১ ঘণ্টা পর শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। তবে অনুষ্ঠান শুরু হলেও চলতে থাকে নাটক। তবে ক্রিকেট ছাপিয়ে রাজনীতিকেই বড় করে ভারত। পাকিস্তান অধিনায়ক জানান ক্রিকেটারদের উচিত ক্রিকেটেই যুক্ত থাকা। এশিয়া কাপের ম্যাচ ফির পুরোটাই ভারতীয় হামলায় আহত ও নিহতদের অনুদান দেয়ার কথা জানান পাক অধিনায়ক।
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ বেশ পুরনো। ক্রিকেট ছাপিয়ে দুই দেশের ভূ-রাজনীতিই এখন আলোচনার খোরাক। এশিয়া কাপের ক্রিকেটের বাইরের ঘটনাগুলো যেন মনে করিয়ে দিলো অসুস্থ রাজনীতির মারপ্যাঁচ।





