এখন মাঠে
0

বিপিএলে টানা সপ্তম জয় রংপুর রাইডার্সের

বিপিএলে টানা সপ্তম জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৮ রানে হারিয়েছে সোহানের দল। দিনের আরেক ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩০ রানে হারিয়েছে চিটাগং কিংস।

বিপিএলে উড়তে থাকা রংপুর রাইডার্সকে মাটিতে নামিয়ে আনার সুযোগ পেয়েছিল খুলনা টাইগার্স। তবে, বোলারদের দৃঢ়তায় জয় হাতছাড়া হয়নি রংপুরের। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৮ রানে হারিয়ে টানা সপ্তম জয় সোহানদের।

এদিন, আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটারদের ধারাবাহিকতায় ৫ উইকেটে ১৮৬ রানের পুঁজি পায় শক্তিশালী দলটি। রংপুরের হয়ে সিলেটের মাঠে ঝড় তুলেন খুশদিল শাহ। ৬টি ছক্কা ও চারটি চারের মারে ৩৫ বলে খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। লড়াকু সংগ্রহ পেতে তাওফিকের ৩৬ ও ইফতিখার আহমেদের ৪৩ সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মোহাম্মদ নাঈমের ফিফটিতে জয়ের সম্ভাবনা জানিয়েছিল খুলনা। তবে, আকিফ জাবেদ, মাহেদী, সাইফউদ্দিনরা তা হতে দেননি। তাদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে অসহায় ছিল প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটাররা।

এদিকে, দিনের অন্য ম্যাচে জয় পেয়েছে চিটাগং কিংস। সিলেটকে ৩০ রানে হারিয়েছে মোহাম্মদ মিথুনের দল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। যদিও, বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্কোয়াডে থাকা পারভেজ ইমন স্কোরটা বড় করতে পারেননি। ১০ বলে মাত্র ৭ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ব্যাটার।

পরে ইংলিশ ক্রিকেটার গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন উসমান খান। এদিন ফিফটি হাঁকান পাকিস্তানি এ ক্রিকেটার। অর্ধশতকের পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। ৩৫ বলে ৫৩ রান করে উইকেট দেন আরিফুলকে। তার সঙ্গে থাকা গ্রাহাম ক্লার্ক সিলেটের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন। ৫ ছক্কা ও ৩টি চারে খেলেছেন ৩৩ বলে ৬০ রানের ইনিংস। এই দুই ব্যাটারের রানে ভর করে দেড়শোর কাছাকাছি স্কোরে চলে যায় চিটাগং।

শেষদিকে হায়দারির আলির ক্যামিওতে দলীয় সংগ্রহ দুইশোর কোটা পার হয়। ১৮ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি ব্যাটার।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিলেট লড়াই করেছে ঠিকই। তবে, নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৭৩ রানের বেশি করতে পারেনি আরিফুলের দল।

ইএ