এখন মাঠে
0

ছেলেকে ক্রিকেটার বানানোর প্রত্যাশা, ট্রায়ালে উৎসাহ-উৎকণ্ঠায় অভিভাবকরা

এক দশক আগেও বেশিরভাগ অভিভাবকরাই স্বপ্নই দেখতেন তাদের সন্তানদের কেউ হবে ডাক্তার, নয়তো ইঞ্জিনিয়ার। সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। ছেলেকে পেশাদার ক্রিকেটার বানানোর প্রত্যাশা নিয়ে বয়সভিত্তিক ক্ষুদে ক্রিকেটারদের ট্রায়ালে উৎসাহ-উৎকণ্ঠা নিয়ে উপস্থিত অভিভাকরাও।

বিসিবির মিডিয়া সেন্টারের সামনে ক্ষুদে ক্রিকেটারদের ভিড়। আগামীতে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নে বিভোর শত শত তরুণ অপেক্ষার প্রহর গুণছে বয়সভিত্তিক দলের ট্রায়ালে অংশগ্রহণের জন্য। তবে ট্রায়ালের আগে উত্তীর্ণ হতে হবে মেডিকেল টেস্টে। বিসিবির দীর্ঘ এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত মাসে। কয়েকটি ধাপে অনূর্ধ্ব ১৪, ১৬ ও ১৮ দলের এই বাছাই চলবে আগামী বছরের এপ্রিল-মে পর্যন্ত।

বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘এটা সবার জন্য খোলা আছে। মানে যে কেউ এসে যদি আমাদের কাছে দরখাস্ত করে যে আমি মেডিকেল করতে চাই, আমরা তাকে ফর্ম দিচ্ছি এবং সে মেডিকেল করতে পারছে। বয়স ভিত্তিক এবং গেম ডেভেলপমেন্টের যে ২০২৪-২৫ এর যে কার্যক্রম সেটা আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। তিনটা বয়সের গ্রুপ থেকে আমরা হয়ত ১ হাজার ২০০ এর মতো সিলেক্ট করবো। ঢাকা মেট্রো যখন টুর্নামেন্ট হয়, তখন এখান থেকে ৩২-৩৫ জন ছেলে সিলেক্ট হয় আটটা টিম থেকে।’

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা কিশোর ক্রিকেটারদের কেউ হতে চান মিরাজ-সাকিবদের মতো অলরাউন্ডার আবার কেউ পেস বোলার হয়ে শিকার করতে চান বাবর-কোহলিদের উইকেট, কেউবা করতে চান নতুন কিছু। স্বপ্নবাজ এই ক্রিকেটাররা দারুণ উৎসাহে জানিয়েছেন তাদের ভবিষ্যৎ ভাবনা, আদর্শ ও লক্ষ্য।

একজন ক্ষুদে ক্রিকেটার বলেন, ‘স্বপ্ন তো অনেক বড়। স্বপ্ন দেখার তো আর বাধা নেই। অনেক কোচের সঙ্গে হয়ত আজতে পরিচয় হবে। তারা টিপস দেবে সেজন্য আসা।’

ট্রায়ালে আসা ক্ষুদে ক্রিকেটাররা দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে এমন স্বপ্ন দেখেন তাদের মা-বাবারা। তাই দিচ্ছেন পূর্ণ সমর্থন, করছেন ত্যাগ শিকার। তাদের প্রত্যাশা ভবিষ্যতে এই ধরনের ট্রায়ালে বাছাই প্রক্রিয়া আরও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

একজন অভিভাবক বলেন, ‘বিসিবিকে আমরা বলবো আর একটু সহযোগিতা যেন আমাদের ছেলেমেয়েদের করে। আমরা চাই যে যোগ্যতার ভিত্তিতে যেন নেয়া হয়। আমার ছেলে হোক বা না হোক, অন্য এক বাইয়ের চেলে হোক কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মেধাবীটা যেন যায়।’

দেশের নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসবে প্রতিভাবান ক্রিকেটার, শক্তিশালী হবে জাতীয় দলের পাইপলাইন। কারণ আজকের শিশু-কিশোররাই আগামীর ভবিষ্যৎ।

এসএস