ঘাস আর কাশফুল দেখে বুঝার উপায় নেই যে, এ মাঠে আগে ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছে। অথচ এ মাঠেই ক্রিকেট খেলার উপযোগী পিচ তৈরি করা হয়েছিল। পরিচর্যা না থাকায় সেই পিচও ঢাকা পড়ে গেছে। দায়িত্ব নেয়ার কিছুদিনের মধ্যেই কয়েকজন পরিচালককে সঙ্গে নিয়ে মাঠটি পরিদর্শনে এসেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
স্টেডিয়াম ঘুরে তিনি জানালেন, আপাতত মাঠটি খেলার উপযোগী করতে চায় বিসিবি। যদি পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে ঘরোয়া লিগের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ম্যাচও আয়োজন হতে পারে ।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, 'শিগগিরই আগে মাঠরে কাজ শুরু করব। মহিলা ক্রিকেট, ডিভিশন থেকে শুরু করে অনেক খেলা আছে। যার জন্য আমাদের মাঠ দরকার, এই মাঠ নিয়ে চিন্তা আছে।'
এরইমধ্যে ভেন্যুটির দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। তবে মাঠ খেলার উপযোগী করার দায়িত্ব নতুন কাউকে দেয়ার পরিকল্পনা নেই বিসিবির।
পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী নৌকার আদলে তৈরি করার কথা ছিল পূর্বাচল স্টেডিয়াম। সে অনুযায়ী মাঠটি নির্মিত হবে কিনা জানতে চাওয়া হয়েছিল বোর্ড সভাপতির কাছে। তাছাড়া, ভেন্যুর নতুন নাম নিয়েও ছিল প্রশ্ন।
মাঠের জন্য যেমনটা দরকার তেমনটাই করা হবে বলেও জানান ফারুক আহমেদ।
বিসিবি ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে পূর্বাচলে স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল। তবে দেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর স্টেডিয়ামটির ভবিষ্যত শঙ্কায় পড়ে যায়।