শনিবার ( ২৯ জুন) বার্বাডোজে ফাইনালে রুদ্ধশাস ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল। দীর্ঘ ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতলো ভারত।
ফাইনালে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে সঞ্চালক হর্ষ ভোগলের প্রশ্নের উত্তরে কোহলি বলেন, 'এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। ঠিক যেটা অর্জন করতে চেয়েছিলাম সেটাই করেছি। এবার পরের প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দিতে চায়।'
বিশ্বকাপে ছন্দে না থাকলেও বিশ্বকাপের ফাইনালে চাপের মুহূর্তে ৫৯ বলে ৭৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন কোহলি। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ফ্লপ কোহলি জ্বলে উঠে একেবারে ফাইনালে। ৪৮ বলে করেন ৫০, এরপরের ১১ বলে করেন ২৬। কোহলি যে বড় ম্যাচের প্লেয়ার সেটা আবারও প্রমাণ করলেন।
বয়সটা এখনো ৩৬ হয়নি, ব্যাটিং গড়টাও এখনো ৫০ এর কাছাকাছি। কিন্তু কোহলি থামলেন এখানেই, অথচ চাইলেই আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যেতে পারতেন। বিশ্বকাপ জেতার দিনে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন। কখন কোথায় থামতে হয় এইটা কোহলিদের ভালোই জানা।
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল ডানহাতি কোহলির। এই সংস্করণে ১২৫ ম্যাচে ৪৮.৬৯ গড় ও ১৩৭.০৪ স্ট্রাইক রেটে ৪১৮৮ রান করেন তিনি। তার নামের পাশে রয়েছে একটি সেঞ্চুরির সঙ্গে ৩৮টি ফিফটি।