কিছুদিন আগে বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আম্পায়ারিং করেছেন শরফুদৌল্লা ইবনে সৈকত। আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের সাথে পাল্লা দিয়ে বিশ্বকাপ মঞ্চেও নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। দেশসেরা আম্পায়ার হয়েও এর আগে বিপিএল আসরগুলোয় ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পাননি সৈকত।
তবে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অর্জনে সৈকতকেই ভরসা হিসেবে দেখছেন ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু অন্দরমহলের খবর হলো দক্ষতার বিচারে অনেক পিছিয়ে থাকা দুই বিদেশি আম্পায়ার সৈকতের চেয়ে তিনগুণ বেশি ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন। আর সেখানে সৈকতের ম্যাচ ফি মোটে ২৫ হাজার টাকা। তাই অনেকটা ক্ষোভেই নাকি ম্যাচ ফি ছাড়াই বিপিএলে ম্যাচ পরিচালনা করছেন সৈকত।
বিসিবির আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, 'ম্যাচ ফি নিবে না এ রকম কথা আমি শুনিনি। হয়তো বন্ধুদের বলতে পারে সে। কিন্তু আমি মনে করি সৈকত বা আমাদের যে অন্যান্য আম্পায়ার আছে কোয়ালিটি অনুযায়ী, তাদের বিষয়টি ভাবতে হবে আমাদের।'
শুধু ম্যাচ ফি’ই না। মানের দিক থেকে বাংলাদেশের আম্পায়ার সৈকত, মুকুল, তানভীর ও গাজী সোহেলদের চেয়ে পিছিয়ে থাকার পরেও বিদেশি আম্পায়ারদের তুলনায় আবাসন, ভাতা সার্বিক সুযোগ সুবিধায় দেশসেরা আম্পায়াররা বৈষম্যের শিকার হয়। ব্যাপারটি স্বীকার করছেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান নিজেও।
তিনি বলেন, 'এই ধারাটা গত ১০ বছর ধরে চলে আসছে। এটা নতুন করে গড়তে হবে। শুধু আমার একার উপর না, বিপিএল কমিটির কাছেও সমস্যাটা তুলে ধরা হবে। আশা করছি, এ দূরত্বটা কমানো সম্ভব হবে।'
ক্রিকেট বিশ্বের আলোচিত লিগ আইপিএলে আম্পায়ারদের সর্বোচ্চ ম্যাচ ফি দেয়া হয়। তবে আকর্ষণ কিংবা মানের বিচারে পিছিয়ে থাকা সিপিএল, এসপিএল বা এফপিএলেও বিপিএলের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক আম্পায়ারদের দেয়া হয়।
পরবর্তী মৌসুমে বিপিএলের আম্পায়ারদের সুবিধা আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে আশ্বস্ত করলেন বিসিবির এই কর্তা।