দিন গড়ানোর পাশাপাশি ক্রীড়াপ্রেমীদের উন্মাদনাও বাড়ছে। দুই বছর পরপর হওয়া ক্রীড়া বিশ্বে ঝড় তোলা দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অলিম্পিক গেমসের জন্য যেন অপেক্ষা ফুরোচ্ছে না। আসর শুরু হতে বাকি নেই খুব বেশি সময়। কিন্তু তার আগে দেশটির জটিলতা কাটছে না।
৪৮ ডিসিপ্লিনে দশ হাজারের বেশি অ্যাথলেটের মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্স দেখতে ফ্রান্স ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্যারিসে জমায়েত হবে লাখ লাখ দর্শক। স্বাভাবিকভাবে অন্য যেকোন সময়ের থেকে সেখানকার মানুষের জীবন ব্যবস্থা ব্যয়বহুল হবে। সেই জটিলতা এড়াতে এবার দাবি-দাওয়া নিয়ে হাজির পুলিশ।
পুলিশ সদস্যরা বলেন, ‘কোন হামলা বা বিশেষ কোন আয়োজন থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয়। তবে সে অনুযায়ী সুবিধা অনেক কম পেয়ে থাকি। প্যারিস অলিম্পিক্সের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হলে প্রতিদিন কাজ করতে হবে কিনা জানি না। তখন বাড়িভাড়া থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাবে। জীবন ব্যবস্থা অনেক ব্যয়বহুল হবে। তবে এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে সঠিকভাবে কোন পরিকল্পনা জানানো হয়নি। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত আসলে তখন পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়ে যেতে হবে।’
তারা আরও বলেন, ‘অনেক আগে আয়োজক শহর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত ছিল। তবে আমরা মাত্র ছয় মাস ধরে কাজ শুরু করেছি। আমাদের কোন সরকারি ছুটি নেই, আমাদের সন্তানদের জন্য বিশেষ কোন ভাতা নেই। এখন আমাদের সবকিছু নিশ্চিত করতে হবে। জানুয়ারি মাস শেষের আগেই আমরা আমাদের প্রশ্নের উত্তর চাই। সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে কিছু বিষয়ে ঘোষণা আসলেও সবকিছু এখনও পরিষ্কার হয়নি।’
তাদের দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর অবস্থানে যাওয়ার কথা বলছেন কর্মরত পুলিশবাহিনীর সদস্যরা।
তারা বলেন, ‘প্রতিবাদ আরও কঠোর হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই একসঙ্গে হলে পরিস্থিতি অন্যদিকে যেতে পারে। আশা করি, সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।’
সমস্যা সমাধানে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের জোরালো কোন উদ্যোগ নেয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমের খবর বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য অন্তত ৫০ কোটি ইউরো বাজেট করছে স্থানীয় প্রশাসন।