১৯৪৭ এ ব্রিটিশ শাসনের থাবা থেকে মুক্তি পেলেও এ দেশের মানুষকে পড়তে হয় পাকিস্তান কর্তৃক ভাষা কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রের জালে।… তারপর ৫২'র ভাষা আন্দোলন! শহীদ হন- রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার। আসে বিজয়।
বিজয়ের পরিক্রমায় ১৯৭১ থেকে এখন ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান। যেখানে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধরা আলো ছড়ায় বর্ণে বর্ণে… রিকশাচালক সুজনের স্যালুট বৈষম্যের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে প্রেরণা জোগায় সকল খেটে খাওয়া মানুষকে।
অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের বইমেলায় তাই তো জুলাইয়ের স্মৃতিচিহ্ন। আবহে অভ্যুত্থান। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাস ব্যাপী এই প্রাণের মেলা. যার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি এটি। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঠে এভাবেই সারি সারি স্টল-প্যাভিলিয়ন রূপ নিয়েছে মেলার। অপেক্ষায় মুখিয়ে পাঠকরাও।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে লেখক প্রকাশকদের চোখে কেমন এবারের বইমেলা?
পুথিনিলয়ের প্রকাশক শ্যামল পাল বলেন, ‘এবারের বইমেলায় ভিন্নতা তো অবশ্যই আছে। প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন এসেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা যদি আমরা প্রথম থেকেই চিন্তা করি তাহলে জনমনে প্রশান্তি আসবে।’
তরুণ লেখক কুমের আলী বলেন, ‘প্রকাশক লেখক সবার উপস্থিতিতে একটা জমজমাট বইমেলা হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
পরিসরের বিবেচনায় এটিকে সবচেয়ে বড় বইমেলা বলছে বাংলা একাডেমি। একটি উৎকৃষ্ট মেলার প্রত্যাশা আয়োজকদের।
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. সরকার আমিন বলেন, ‘আমরা যদি একটি ভালো বাংলাদেশ চাই, ভালো বইয়ের কাছে আমাদের ফিরতে হবে। এবারের বইমেলা বিশেষ মুহূর্তে সেই বার্তা নিয়ে এসেছে। কারণ পুরো জাতি এখন একটা পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় আছে। জাতি চায় একটি মুক্ত বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, সুন্দর বাংলাদেশ। বইমেলা এবার সেই সুন্দর বাংলাদেশের কথা বলবে।’