স্বাস্থ্য
বিশেষ প্রতিবেদন
0

দেশে দু'সপ্তাহ অবস্থানের পর ফিরে গেল অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দু'সপ্তাহ অবস্থানের পর ফিরে গেল অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল। ১১ দফায় চক্ষু চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত বাংলাদেশের প্রায় ১২শ পেশাজীবীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এই হাসপাতাল। ঘরে বসেই হাতে কলমে চোখের সর্বাধুনিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নেয়ার অভিনব পদ্ধতি অন্যকোনো রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। চোখের সর্বাধুনিক সেবার প্রসারে পৃথিবীর একমাত্র উড়ন্ত হাসপাতালকে মাঝে মাঝেই দেশে আনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রশিক্ষণার্থীরা।

১৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দুই সপ্তাহের জন্য অবতরণ করে অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল।

৪০০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বিমানটির ভেতরে রয়েছে হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ, অক্সিজেন স্যাচুরেশন, চোখের রেটিনাসহ নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা। চোখের সব ধরনের অস্ত্রোপচারের জন্য রয়েছে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার। প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রগুলোর অধিকাংশই বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে নেই। কিছু সরকারি হাসপাতালে এসব যন্ত্র থাকলেও চিকিৎসকদের ব্যবহারে দক্ষতা নেই।

আশার খবর হলো এবার ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান ১৭০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে উড়ন্ত এই প্রশিক্ষণ হাসপাতাল। অংশ নিয়েছে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সহ সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বাছাইকৃতরা। দেশে বসে চক্ষু চিকিৎসায় বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণ পেয়ে আনন্দিত প্রশিক্ষণার্থীরা।

প্রশিক্ষণার্থীদের একজন বলেন, ‘একটা অনলাইন কোর্স করার পরে এখানে আসছি। ইনস্টিটিউট থেকে সে কোর্সে যথাযথ নাম্বার পাওয়ার পরে এখানে এন্ট্রি দেয়া হয়েছে।’

আরেকজন বলেন, ‘এইটা আমার জন্য নতুন। এইটা শেখার পরে আমরা যখন হাসপাতালে যাবো তখন হাতে কলমে করলে আরো সহজ হয়ে যাবে আমাদের জন্য।’

অরবিসের তথ্য মতে, প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে দুই সপ্তাহে ৮৬ জন রোগীকে স্ক্রিনিং, ৪৪ জনের সার্জারি করা হয়েছে। বিনা পারিশ্রমিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১১ জন ফ্যাকাল্টি ও আরও ৩ জন স্বেচ্ছাসেবী। এবারের প্রশিক্ষণের মূলে ছিল চোখের ছানি, গ্লুকোমা, রেটিনা অকুলোপ্লাস্টি ও কর্নিয়া।

বিমান চলে যাবার পরও বাংলাদেশে আসা ফেলোদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে প্রশিক্ষণার্থীদের। নতুন বছরে ভার্চুয়ালি আরও দুটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন অংশ নেয়া প্রশিক্ষণার্থীরা।

বাংলাদেশের অরবিস ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ বলেন, ‘তারা চলে যাওয়ার পরেও তাদের সাথে আমাদের কমিউনিকেশন থাকবে। তারপরে আমরা প্রত্যেকের দুইটা হাসপাতাল কেন্দ্রিক ট্রেইনিং করি। যদিও আমরা প্লেন পাচ্ছি না কিন্তু একইরকম ট্রেনিং কোয়ালিটি পাচ্ছি।’

ইএ