এর মধ্যে দুর্গাপুরের গারো ব্যাপ্টিস্ট কনভেনশন (জিবিসি) এর ১৪৩ বছরের বেশি পুরনো বিরিশিরি ব্যাপ্টিস্ট মাতৃ মন্ডলী গির্জায় প্রার্থনা পরিচালনা করেন বিভাগীয় প্রেসিডেন্ট আশিষ কুমার সাংমা। এ বছর প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডিভিশন ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ প্রলয় চিসিম।
বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দেশবাসীর শান্তি কামনা পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে শান্তির বার্তা দেয়া হয়। পরে কেক কেটে যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন পালন করা হয়।
এছাড়াও জেলার সীমান্তবর্তী দুই উপজেলা দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিনটি। প্রায় প্রতিটি গির্জায় সকালেই প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বড়দিনের সূচনা হয়।
এর মধ্যে রানীখং ক্যাথলিক গির্জা, বিরিশিরি, গোপালপুর, বারোমারী, গোবিন্দপুর, পাঁচগাও, লেঙ্গুড়া সহ দুর্গাপুরে ৭২ টি ও কলমাকান্দা উপজেলায় ৭৪ টি সহ মোট ১৪৬টি গির্জায় বড়দিনের অনুষ্ঠান করা হয়েছে।
গির্জাগুলোতে বিশেষ প্রার্থনা শেষে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে চলছে এখন উৎসবের আমেজ। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকা সহ সকল স্থানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর আমরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করি। এই দিনে আমরা যিশুখ্রিস্টের জন্ম সব পালনের মধ্য দিয়ে বড়দিনের উৎসব পালন করি। এবং নতুন জামা কাপড় পড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাই এবং সবাই মিলেমিশে ভ্রাতৃত্ব ও মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করি।
গারো ব্যাপ্টিস্ট কনভেনশন (জিবিসি) এর বিভাগীয় প্রেসিডেন্ট আশিষ কুমার সাংমা জানান, আমরা দেশবাসীর শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেছি। এবং যারা এখন দেশ পরিচালনা করছেন তারা যেন সুস্থ সুন্দরভাবে দেশটা পরিচালনা করতে পারেন তার জন্য প্রার্থনা করেছি। বড়দিন শান্তির দিন, মিলনের দিন, ভ্রাতৃত্ব প্রেমের দিন। সকল হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে আজ মিলনের দিন। সকলে মিলে মিশে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের জন্ম তিথি সেটা উপলব্ধি করতে পারি। এবং সেই মোতাবেক যেন আমরা আমাদের জীবন পরিচালনা করতে পারি সেই জন্য প্রার্থনা করেছি।