ধর্ম
0

প্রতিটি চার্চে যিশু ভক্তরা অংশ নেন বড়দিনের প্রার্থনায়

আজ শুভ বড়দিন। ভোরের আলো ফুটতেই গির্জায় শুরু হয় বড়দিনের প্রার্থনা। পরিবার পরিজন নিয়ে চার্চে সমবেত হন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। নতুন কাপড়, অলংকার আর নানা সজ্জায় নিজেদের সুসজ্জিত করে যিশু ভক্তরা অংশ নেন বড়দিনের প্রার্থনায়। এসময় তারা নিজ পরিবার, দেশ এবং বিশ্বের মঙ্গল কামনা করেন।

ঈশ্বরপুত্র যীশুর প্রতিটি বাণীর উদ্দেশ্যই পৃথিবীতে প্রেম ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা।

বড়দিনে পৃথিবীতে মানুষরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রভু যিশু। তার এই আগমনের মূল লক্ষ্য ছিল প্রেম ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেয়া। তাইতো খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে ভ্রাতৃত্ব তৈরির শপথ নেন বড়দিনে।

চার্চে আসা একজন বলেন, ‘সবার জন্য আমরা দোয়া করি বা প্রার্থনা করি যে, সবাই যেন ভালো থাকে। দিনটা আজকে আমরা শুভ মনে করি, শুভ বড়দিন, শুভ বড়দিনের শুভেচ্ছা সবাইকে।’

বড়দিনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই যিশু ভক্তরা আসতে শুরু করেন চার্চে। সঙ্গীত আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে স্মরণ করেন যীশুকে।

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষকে পাপ থেকে মুক্ত করার জন্য এবং তাদেরকে সঠিক পথ দেখানোর জন্যই পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল ঈশ্বরপুত্র যীশুর। তাইতো বড়দিনে সবার মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করেন তারা।

ভোরের আলো ফুটতেই রাজধানীর গির্জায় গির্জায় শুরু হয় বড়দিনের প্রার্থনা। পরিবার-পরিজন নিয়ে গির্জায় সমবেত হন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। সঙ্গীত আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয় যীশুকে।

তেজগাঁও চার্চের ফাদার জয়ন্ত এস. গমেজ বলেন, ‘বড়দিনটা অবশ্যই আমাদের জন্য যিশু খ্রিষ্টের কাছে একটা আনুগত্য দেখিয়ে আমরা যেন তার ব্যক্তিত্ব নিয়ে মানবতার কাজ করার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। আমাদের বিশ্বাসের নবায়নটা করি এই বড়দিন উপলক্ষ্যে।’

ঈশ্বরপুত্র যীশুর জন্ম হয়েছিল গোয়ালঘরে। এর মধ্য দিয়ে তিনি যে সকল শ্রেণির সে বার্তাই দিয়েছিলেন।

অন্যের জন্য বাঁচা আর সবার কল্যাণে আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হওয়াই বড়দিনের মূলমন্ত্র। সে আদর্শকে অনুসরণ করেই বড়দিন উদযাপন করছেন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা।

এসএস