খেজুর পাতা দিয়ে ছাওয়া কুঁড়েঘরের স্থাপনা, মাটির তৈরি পাত্র, বালি-মাটির দেয়াল ও মেঝে, প্রাচীন কূপের প্রতিকৃতি এবং সবুজ গাছপালায় সজ্জিত বসার স্থান। এ সজ্জা তৎকালীন মরু পরিবেশে নবীজি এর সাদামাটা জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। ঢাকার বুকে এ যেন এক ছোট্ট মদিনা।
পবিত্র সিরাতুন্নবী উপলক্ষে ধানমন্ডির মসজিদ-উত-তাকওয়া সোসাইটিতে দেখা মিললো সাড়ে ১৪'শ বছর আগের নবীজির ঘরের সাদামাটা সব অনুষঙ্গ। রাসূলের ঘরের পাশেই শোভা পাচ্ছে মেয়ে ফাতেমা এর ঘর, উম্মুল মুমিনীদের তথা তাঁর সহধর্মিণীদের ঘরও। একইসাথে খেজুর গাছের ঢাল, খেজুর পাতার অবয়বে তৈরি মসজিদে নববীও। একইসাথে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব পছন্দের খাবারের তালিকায় থাকা খেজুর, মধু, দুধ, মাখন, পনিরসহ বিভিন্ন ফল। নবীজির এমন সব স্মৃতি চিহ্নের প্রদর্শনী থেকে আপ্লূত দর্শনার্থীরা।
আরও পড়ুন:
দর্শনার্থীরা জানান, খুবই ভালো উদ্যোগ। অনেকেরই মক্কা মদিনায় যাওয়ার উপায় থাকে না। তাদের জন্য এটা অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো। অনেকেই পরিবার নিয়ে এসেছেন। এটা আরও আগেই হওয়া উচিত ছিলো বলেও জানান তারা।
শনিবার শেষদিনের প্রদর্শনীতে আসেন সরকারের দুই উপদেষ্টা। মহানবীর সহজসরল জীবনযাপন আর সিরাতের আলোকে মানুষের জীবন গঠনে এমন আয়োজন শিক্ষণীয় বলে মত তাদের। আগামীতে এ আয়োজন দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ধর্ম উপদেষ্টা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, নবীর প্রেমে যারা এসেছেন তা অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণামূলক। আমরা মনে করি এর পরিসর বৃদ্ধি করা উচিত।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের সিরাতে রাসূলের প্রতি আকর্ষণ বাড়ায়। আমরা যাতে আমাদের নবীর আদর্শ পালন করতে পারি সে চেতনা আজকের এ আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের অন্তরে জাগ্রত হয়েছে।
সিরাতুন্নবী উপলক্ষে পহেলা অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ৪ দিনের এই আয়োজনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে অন্তত ৫০ হাজারের বেশি মানুষ যোগ দিয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।





