সারাদেশের মতো ময়মনসিংহ নগরীর দুর্গাবাড়ি মন্দিরে দিনের শুরুতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার মর্ত্যলোকে আগমনের আমন্ত্রণ জানানো হয়। স্থাপন করা হয় ঘট, করা, বিশেষ পূজা। সেজন্য শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো এ মহালয়া। দেবীর আরাধনা সূচিত হয় মহালয়ার মাধ্যমে।
পুরাণে আছে দুর্গোৎসবের তিনটি পর্ব- মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা। সকাল থেকে শিশু থেকে শুরু করে সববয়সী শতশত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মন্দিরে হাজির হয়ে প্রার্থনা সংগীত, মন্ত্র পাঠ, নৃত্য, নাটক, গানসহ নানান আয়োজন উপভোগ করেন। এসময় দেবী দুর্গাকে পৃথিবীতে আসার আহ্বান জানাতে আবেগ আপ্লুত হন অগণিত ভক্তরা।
দেবী দুর্গা যেন মায়ারূপে পৃথিবীতে আসেন, সেই সঙ্গে সকল জরাখড়া পাপাচার অনাচার বিনাশ করে সুখি সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ যেন দেখতে পায় এদেশের মানুষ এমন প্রার্থনাই জানায় সকলে। মহালয়ার পর প্রতিপদ তিথি থেকে দেবী বন্দনা শুরু হয়। কোনো কোনো অঞ্চলে দেবীর আরাধনা প্রতিপদ থেকে শুরু হয়। একে বলে দেবীপক্ষ।
কথিত আছে মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এ দিনেই পিতৃপক্ষের অবসান হয় এবং অমাবস্যার অন্ধকার দূর হয়ে আলোময় দেবীপক্ষের শুভারম্ভ হয়। এখানে দেবী দুর্গাই হলেন সেই মহান আলয় বা আশ্রয়।





