তিনি বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, আজ আসুন আমরা সকলে মিলে প্রতিজ্ঞা করি–ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যারা আসবে, আমরা সকলে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে ন্যায়পরায়ণতা, সেই ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আসুন আমরা আল্লাহর কাছে হাত তুলে প্রার্থনা করি হে রাব্বুল আলামিন, হে একমাত্র মালিক, হে একমাত্র রহমত দানকারী। আজ আপনি যদি আমাদের রহমত দেন আমরা এ দেশের মানুষ পরিশ্রম করার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারবো। আজ যদি আল্লাহর রহমত এ দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে থাকে, আল্লাহর সাহায্য, দয়া আমাদের ওপর থাকে ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।’
আরও পড়ুন:
এর আগে, লাখো নেতাকর্মীর প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে, জনস্রোত ঠেলে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) নির্মিত মঞ্চে পৌঁছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন জীবনের ইতি টেনে বৃহস্পতিবার দেশের মাটিতে পা রাখার পর দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি মঞ্চে গিয়ে পৌঁছান। এসময় স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা, নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাসে তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাল-সবুজ রঙের একটি বাসে করে সংবর্ধনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। তার সঙ্গে বাসে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে সমবেত হন।
তারেক রহমানকে বহনকারী বাসটি সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছানোর সঙ্গেসঙ্গেই উপস্থিত জনতার মধ্যে বাঁধভাঙা উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। ‘বীরের বেশে, তারেক রহমান আসছে ফিরে বাংলাদেশে’সহ বিভিন্ন স্লোগানে তাকে বরণ করে নেন দলের নেতাকর্মীরা।





