আজ (মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান তিনি। এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব জানান, সিলেট-৫ আসনে জমিয়তের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, নীলফামারী-১ আসনে মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ফখরুল জানান, এসব আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে। কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, জমিয়ত নেতারা তাদের দলীয় প্রতীক খেজুর গাছ নিয়ে নির্বাচন করবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশ বর্তমানে একটি ভয়াবহ ট্রানজিশন পিরিয়ড অতিক্রম করছে।’ এই সময়কে ব্যাহত করতে কিছু ব্যক্তি ও মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সরকার কয়েকটা মাস যোগ্যতার পরিচয় দেবে। তবে সরকারকে ধন্যবাদ, তারা কথা রেখেছে। ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশ করার ব্যাপারে সরকারকে আরও সচেতন, ইতিবাচক ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করা দরকার। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু পরিবেশে হয় সেটা আমরা আশা করি’।
জমিয়তের নেতাদের মধ্যে দলের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামি দলগুলোর মধ্যে জমিয়তই এবারের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। দলটির প্রত্যাশা ছিল আরও বেশি আসন। এটি নিয়ে টানাপোড়েনও দেখা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হলো জমিয়তের। ফলে সারা দেশে জমিয়তের যারা প্রার্থী ছিলেন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তাদের স্বাগত জানাই। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। দোয়া করছি তাদের এই উদ্যোগ যেন সফল হয়।’





