নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘অতীতে তারা (জামায়াত) কিছু ভালো কাজ করলেও সেই সাফল্য বেশিদিন টেকেনি। ডাকসুর নির্বাচন শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যেই তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। এখন তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভোট নিয়ে হেলিকপ্টারে ঘুরে ঘুরে সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী–সংশ্লিষ্ট প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।’ এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব দেশবাসী কখনো চায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তার দায় বিএনপির ব্যর্থতার ওপরই বর্তায়। সেই ব্যর্থতার কারণেই দেশে এক–এগারোর সরকার এসেছিল, যার সময় দেশের প্রায় সব তরুণই নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছিলেন।’ তার মতে, গত ১৫ বছরের শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসন টিকে থাকার পেছনেও বিএনপির ব্যর্থতাই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা যখন দেশের জন্য নতুন পথ তৈরি করতে চাইলাম, তখন তারা ইতিহাসের রং বদলে আবার সামনে এলো। এবার তারা তুলে ধরলো মুক্তিযুদ্ধের কার্ড, যা তাদের মুখে কখনোই সত্যিকারের উচ্চারিত হতে দেখিনি। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবসা করেছে, আর এখন এসেছে নতুন চেতনার ব্যবসাদার।’
তার অভিযোগ, জামায়াতে ইসলামী এখন নতুন চেতনার কথা বলে ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চেতনা দিয়ে রাজনীতি হয় না। রাজনীতি করতে চাইলে সোজা পথে আসুন। মিষ্টি কথার আড়ালে কী আছে, তা অতীতে আমরা দেখেছি। জামায়াতে ইসলামীর এখন পাখনা গজিয়েছে। এসব ভণ্ডামি বন্ধ করতে হবে। পাকিস্তানেও জামায়াতে ইসলামী পাখা মেলেছিল, কিন্তু একটি আসনও পায়নি।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে পাটওয়ারী বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে মিলে সব সেক্টরে দুর্নীতি করেছে বিএনপি। এখন আবার তারা ধর্মভিত্তিক নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার চেষ্টায় রয়েছে।’ তার দাবি, ‘আগে একই প্লেটে খেতো, এখন প্লেট আলাদা; ভাত তাদের, তরকারি জামায়াতের। জামায়াত দুর্নীতির জন্য সমানভাবে দায়ী।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী আসনের লোভ দেখিয়ে আন্দোলনের নেতাদের কিনে নেয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ের ছাত্রনেতারা বিক্রি হয়েছিল, কিন্তু চব্বিশেল নেতারা বিক্রি হবে না—হবে না, হবে না।’
ভয় দেখানোর প্রসঙ্গে এই তরুণ নেতা বলেন, ‘আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা হয় লন্ডন থেকে, দেশের ভেতর থেকে নয়। আমরা কাউকে ভয় পাই না—না বাস্তবে, না অনলাইনে।’





