সাদিক কায়েম বলেন, ‘গত ৫৪ বছরের বাংলাদেশে ভারতীয় দালালরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করেছে। বিশেষ করে গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ ছিলো ভারতের সাপ্লাই কলোনির মতো। ভারত আমাদের অর্থনীতিকে শোষণ করেছে, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে রাজনৈতিক গোলামীর শৃঙ্খলে বন্দী করে রেখেছিলো। শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে ভারত।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতিকে ছাত্রজনতা দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ফ্যাসিবাদের কবর দেয়া হয়েছে। দেশে আর কোন ফ্যাসিবাদী শক্তির জন্ম নেবে না। ভারত বাংলাদেশকে ষোল বছর একটি কলোনি বানিয়ে রেখে ছিলো। সুশাসন আইনের শাসন মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের সকল সম্ভাবনা নষ্ট করে দিয়েছে। ষোল বছর দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন করা হবে।’
সাদিক কায়েম বলেন, ‘জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা হলো একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়া। যে বাংলাদেশে সন্ত্রাস থাকবে না, মাফিয়া থাকবে না। যে বাংলাদেশে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি থাকবে না। যে বাংলাদেশে শুধু থাকবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি। সেই সাথে জুলাইয়ের মাধ্যমে যে প্রজন্ম তৈরি হয়েছে সেই প্রজন্মকে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর সেই ঐতিহাসিক দায়িত্ব হলো সামনে জাতীয় নির্বাচনে সঠিক নেতৃত্বকে বেছে নেয়া। যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করবে, যারা দিল্লির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ জারি রাখবে আমরা সেই নেতৃত্ব বেছে নেব।’
আয়োজিত ছাত্র নাগরিক সমাবেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম সুনামগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লার মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন। ছাত্র নাগরিক সমাবেশের বক্তব্যের শুরুতেই তিনি খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে সকলের কাছে দোয়া চান।





