তিনি বলেন, ‘দেশে গণভোটের আগে কোনো কিছু হতে দেওয়া হবে না। জুলাই সনদ আমরা কোনো কাগুজে সনদ হিসেবে দেখতে চাই না। জুলাই সনদকে আমরা আগামী বাংলাদেশের রূপরেখা হিসেবে দেখতে চাই। এজন্য আমরা আট দলের পক্ষ থেকে বলেছি, অনতিবিলম্বে জুলাই সনদকে সরকারি আদেশের মাধ্যমে এর প্রাথমিক আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে।’
মামুনুল হক বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি দিতে হবে। এর ব্যত্যয় হয়ে জুলাই বিপ্লবপন্থিরা বরদাস্ত করবে না। আমরা সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে চাই, আমাদের জুলাই যোদ্ধাদের, জুলাই বিপ্লবের শাহাদাত বরণকারী বীর শহীদদের রক্ত মাড়িয়ে জুলাই বিপ্লবের জুলাই সনদ বাস্তবায়ন গণভোট ছাড়া বাংলার মাটিতে আমরা আর কোনো কিছুই হতে দেব না।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির বলেন, ‘আমি জানি না, জাতীয় নির্বাচনের আগে একটি পক্ষ কেন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চাচ্ছে না। গণভোট হলে কার কী সমস্যা? জুলাই সনদ আর গণভোট ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে, যদি তফসিল ঘোষণা হয়ে বাস্তবায়িত হয় সেখানে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হবে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দ্বিকক্ষ সংসদের উচ্চকক্ষ কীভাবে গঠিত হবে? কীভাবে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনি মেনিফেস্ট (ইশতেহার) তৈরি করবে? ‘
দলগুলো জাতির সামনে তাদের একশ প্রার্থীর তালিকা কীভাবে প্রকাশ করবে? এসব বিষয়ের কোনো সদুত্তর তাদের কাছে নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা জাতীয় সংসদের আগে জুলাই সনদের গণভোটের বিরোধিতা করছেন আমরা তাদের সমস্যা জানতে চাই। তাদের কাছে কোনো যুক্তি নাই। তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ঠেকিয়ে দিয়ে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়।’
মামুনুল হক বলেন, ‘দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ বাহাত্তরের বাকশালপন্থি, আরেক ভাগ জুলাইয়ের বিপ্লবপন্থি। আজ প্রতিটি রাজনৈতিক পক্ষের কাছে আমার সুস্পষ্ট জিজ্ঞাসা, সবাই যার যার অবস্থান পরিষ্কার করুন। হয় আপনি জুলাইয়ের পক্ষপাতী, আর না হয় বাহাত্তরের বাকশালপন্থি। বাহাত্তরের পরাজিত বাকশালপন্থিরা আগামী ১৩ নভেম্বর লকডাউনের নামে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। আমি ঘোষণা দিচ্ছি, ১৩ নভেম্বর আমরা কোনো বাকশালপন্থিকে বাংলার রাজপথে নামতে দেব না। রাজপথে তাদের মোকাবেলা করা হবে।’





