তিনি বলেন, ‘আপনারা মনে করছেন দুটো আসন দিয়ে আমাদের কিনে ফেলবেন। দু-তিনটা আসন দিয়ে আমাদের কিনতে চাইছেন, এ স্বপ্ন আমরা জীবিত থাকতে বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হতে দেব না।’
বিএনপিকে সমালোচনা করে নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘জনগণের সংস্কারের বিরুদ্ধে আপনারা গিয়েছেন। গণভোটের বিরুদ্ধে আপনারা যাচ্ছেন। আপনার সঙ্গে সমঝোতা ও জোটের প্রসঙ্গ তো দূরের কথা। বিএনপির মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে এটা আমরা আগেও বলেছি। তাদের মৃত্যু ঘণ্টা আরও জোরে বাজছে ইন শা আল্লাহ। এবং আওয়ামী লীগের পরিণতিই হবে বিএনপির।’
এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘নামেন না মাঠে, অলরেডি জ্বালাও-পোড়াও ব্লকেড শুরু হয়ে গেছে। এবার ইলেকশনে বড় ধরনের খেলা হবে। দেখি আপনাদের টাকার নমিনেশন বাণিজ্যের কত জোর। আর আমাদের কত রক্তের জোর খেলা হবে মাঠে ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের অন্যতম সারথি ছিলেন আসিফ নজরুল স্যার। আইন অঙ্গনে তিনি কী উপহার দিলেন? ইতোমধ্যে শুনলাম যে বড় একটা সংস্কার হয়েছে যে, অ্যাসিস্ট্যান্ট জাজ থেকে তার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এতটুকুই হলো ওনার সংস্কার। এ সংস্কারের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেয় নি।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল তার দায়িত্বে থেকে নমিনেশন সাবমিট করার কথা বলেন, এটা এথিকাল না। সরকারের ওপর আস্থা রেখেছিলাম। আর এ সরকার আমাদের হাতে লাড্ডু ধরিয়ে দিলেন।’
তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত সেনাকর্মকর্তাদের এসি গাড়িতে আনা নেয়া করা হলো। বাকি অপরাধীদের মতো কেনো করা হলো না?’ এসময় যারা হাওয়া ভবন সামলাতো তারাই এখন বিএনপির নমিনেশন পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির ব্যাজ ধারণ করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে এনসিপির নির্বাচনি প্রতীক শাপলা কলিকে বেছে নেবেন, এমন আশাও প্রকাশ করেন পাটওয়ারী। সভা শেষে, এনসিপি সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন ন্যাশনাল ল'ইয়ার্স অ্যালায়েন্সের ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ঘোষণা করেন তিনি।
অন্যদিকে সরকার যে ম্যান্ডেট নিয়ে দায়িত্বে এসেছিল তা ভুলে যেতে বসেছে বলে অভিযোগ করেছেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘সংস্কার না হলে এ সরকারের এক্সিট কীভাবে হবে আর নির্বাচন কেমন হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হবে।’
এনসিপি নেতা আখতার হোসেন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে সংস্কারের আলাপ ঠেলে দেবেন না।’
বিদ্যমান সংবিধানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘পুরোনো সংবিধানের ফাঁদে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার জলাঞ্জলি দেয়া যাবে না।’





