রবিউল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আইনের প্রতি আমি আগাগোড়া শ্রদ্ধাশীল। যদিও দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের সময় আইন তার নিজস্ব গতিতে না চলতে পেরে স্বৈরাচারী সরকারের গতিতে চলেছে। সেখান থেকে আমরা ৫ আগস্টে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটা প্রেক্ষাপটে নিয়ে এসেছি। এখন আমার মনে হয় যে, আইনের প্রতি আমি শতভাগ শ্রদ্ধাশীল। এ কারণেই শ্রদ্ধাশীল যে, দেশের মানুষ সর্বশেষ আইনের প্রতি দ্বারস্থ হবে।’
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্য নিয়ে নয়ন বলেন, ‘আমি এ বিতর্কিত নেতা, যে বাজে মন্তব্য করেছেন, অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তির ভেতর ফেলেছেন, সেটা আইনের মধ্য দিয়ে আমি সমাধান চাই। সে কারণে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দেখেই আদালতে গিয়েছি। যারা এমন ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তি করে তাদের উদ্দেশে আমার বার্তা হচ্ছে যে, ভাই আপনি বাংলাদেশের মানুষ, আমি বাংলাদেশের মানুষ, এ দেশটা আমাদের। এ দেশের মানুষ আপনার ভাই, আপনার আত্মীয়, আপনার আপনজন। আপনি যদি এরকম দেশের মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে, বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চান, দেশে মঙ্গল তাহলে আপনি চান না। এটা আমরা ধরে নেবো, বুঝে নেবো।’
আরও পড়ুন:
পরবর্তীতে মামলার বিষয়ে নিজের মন্তব্য জানিয়েছেন নয়ন। তিনি বলেন, ‘আপনি তো শিক্ষিত ছেলে, আপনার কাছ থেকে জাতি এটা আশা করে না। আপনার যদি মাথায় কোনো সমস্যা থেকে থাকে, মানুষ আপনাকে নিয়ে অনেকরকম অনেক কথাবার্তা বলে। এরকম যারা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায়, তারা দেখবেন যে, হয় মাথায় সমস্যা আছে নাহলে মাদকাসক্ত, নাহলে সে কোনো দেশের এজেন্ডা হয়ে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্য বাংলাদেশের মানুষের মানসম্মান নিয়ে খেলার জন্য সে কোনো না কোনো এজেন্ডা হয়ে কাজ করছে। হয়তোবা টাকার বিনিময়ে এসব কাজ করে থাকে। আমি তাদের বলবো, এসব অসৎ উদ্দেশ্য ছেড়ে সৎ উদ্দেশে এসে বাংলাদেশের রাজনীতিকে, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি তাদের পরামর্শ দেবো।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব বলেন, ‘এনসিপির এ বিতর্কিত নেতা (নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী) নিজেকে ভাইরাল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নেতাদের সম্বন্ধে খুবই আজেবাজে মন্তব্য করে থাকেন। অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকেসহ জাতিকে একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে থাকেন। যে কারণে দুই-তিন দিন আগে তিনি আমাদের বিএনপির সারা দেশের প্রার্থীদেরসহ আমাকে নিয়ে খুবই বাজে মন্তব্য করেছেন। যেটার মিনিমাম কোনো তথ্য তার কাছে নেই।’
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে আমি রবিউল ইসলাম নয়ন বারবার বলেছি, অনেক গণমাধ্যমে বলেছি, আমার জন্মের পর থেকে আমার নামে পলিটিক্যাল মামলা ছাড়া কোনো প্রকার কখনও মামলাও হয়নি, কোনো মানুষ বলতে পারবো না যে, নয়ন চাঁদাবাজি তো অনেক দূরের কথা, কোনো ওয়েতে রবিউল ইসলাম নয়ন কাউকে ফাঁকি দিয়ে দুই পয়সা তার কাছ থেকে মেয়ে খেয়েছে। এরকম একটা পরিবেশের ভেতর দিয়ে আমি পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে প্রশ্নে সম্মুখীন হয়েছি, যে কারণে এনসিপির এ নেতার নামে মামলা করতে আমি বাধ্য হয়েছি।’
আরও পড়ুন:
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে না থামানো গেলে দেশে বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন রবিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এ নেতাকে যদি না থামানো হয়, তাহলে বাংলাদেশে যেকোনো মুহূর্তে বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে দিতে পারে সে। এসব বাজে মন্তব্য দিয়ে সমাজে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে একটা বিশৃঙ্খলা লাগিয়ে দেশকে আবার দেশকে একটা গ্যাঞ্জাম, ফ্যাসাদের রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে এ নেতা। এ নেতার অসৎ উদ্দেশ্য বাধাগ্রস্ত করার জন্য এবং এ অসৎ উদ্দেশ্যকে প্রতিহত করার জন্যই আমার আদালতে যাওয়া। ’
এর আগে, গেল শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে তরুণ আলেমদের ভাবনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপির (যুবদলের) ঢাকা মহানগরের একজন নেতা আছে নয়ন। ও যে পরিমাণ টাকা চাঁদাবাজি করেছে, দুর্নীতি করেছে— ওই টাকা দিয়েও বাংলাদেশে একটা গণভোট হওয়া সম্ভব।’





