আজ (বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় যুবশক্তির আয়োজনে ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচন কোন পথে?’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন তার নতুন তালিকায় ‘শাপলার কলি’ প্রতীক যুক্ত করে এনসিপির সঙ্গে প্রতারণা করছে অভিযোগ করেন সামান্তা শারমিন।
তিনি বলেন, ‘এই যে দেখেন আমরা একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে শাপলা প্রতীক চেয়েছিলাম, কিন্তু গেজেটভুক্ত হয়েছে শাপলার কলি। দেখেন, কোনো ধরনের কারণ, আইনি ব্যাখ্যা, কোনো সাংবিধানিক ব্যাখ্যা ছাড়া আবারো নির্বাচন কমিশন এমন একটা পজিশন নিলো, যেটা একটা প্রশ্নের জন্ম দেয়।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘শাপলার কলি যদি অন্তর্ভুক্ত করা যায়, এটা কি এমন একটা জায়গায় দাঁড় করায় না যে তারপরও তোমরা যা চেয়েছো, সেটা আমরা দিলাম না। এমন একটা পজিশনে দাঁড় করানো হলো যে, তোমরা আসলে ফুটো নাই, তোমরা এখনও বাচ্চা।’
কঠোর সমালোচনা করে এনসিপির এই নেত্রী বলেন, ‘এই যে একটা ন্যারেটিভ দাঁড় করানো, এই ন্যারেটিভটা কার? এটা হচ্ছে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর ন্যারেটিভ। এই ন্যারেটিভে এখনও কমপ্লাই করছে নির্বাচন কমিশন। তাই আমরা মনে করি, তারা এখনও যে প্রক্রিয়াগুলো চালু রেখেছেন, এগুলো তারা অবিলম্বে বন্ধ করবেন। গেজেটভুক্ত সরকারি একটা কাগজ মানেই যে, তারা একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ দিতে চাচ্ছেন, এই চাপ তো এই জেনারেশনের ওপর দিয়ে লাভ হবে না। শাপলার কলি তারা দিতে পেরেছেন মানে শাপলাও দেয়া সম্ভব।’
আরও পড়ুন:
সবশেষে তিনি বলেন, ‘তারা কেন এরকম একটা প্রতারণামূলক অবস্থান নিলেন, এই জায়গায়ই বোঝা যায়—এই কমিশন যেগুলোর বর্ণনা আমি এখন পর্যন্ত দিলাম, সেটার চেয়ারম্যানকে কেন বাছাই কমিটি এবং একটা নির্দলীয় বাছাই কমিটির মধ্যে দিয়ে আসতে হবে, এই নির্বাচন কমিশনকে দেখে আপনারা বুঝতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’
উল্লেখ্য, আজ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা-২০০৮ সংশোধন করে ১১৯টি প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ১১৫টি প্রতীক দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। ওই তালিকা থেকে নতুন প্রকাশিত গেজেটে ১৬টি প্রতীক বাদ দেয়া হয়েছে। আর নতুন করে ‘শাপলা কলি’-সহ ২০টি প্রতীক যুক্ত করে ১১৯টি প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।





