জনগণের চাপে গণভোটে রাজি হয়েছে বিএনপি, কিন্তু একটা প্যাঁচ লাগিয়ে রেখেছে: তাহের

কথা বলছেন নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
কথা বলছেন নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের | ছবি: এখন টিভি
2

বিএনপি জনগণের চাপে গণভোটে রাজি হয়েছে, কিন্তু একটা প্যাঁচ লাগিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই প্যাঁচ বুঝি না। সহজভাবে গণভোট আগে হতে হবে এটা আলাদা বিষয়। এটা যদি হ্যাঁ হয় তাহলে নির্বাচন। আর না হলে মাইনাস করে নির্বাচন। খুব সোজা জিনিস।’

আজ (বুধবার, ২২ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন তিনি। এর আগে সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে যমুনায় প্রবেশ করে জামায়াত প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম ও রফিকুল ইসলাম খান। ঘণ্টাখানেকের বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বেরিয়ে আসেন জামায়াতের প্রতিনিধিদল।

পরে যমুনার সামনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আজকের বৈঠকের বিষয়ে বিফ্রিং করেন দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

গণভোট প্রসঙ্গ টেনে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘গণভোটের ব্যাপারে বিএনপি কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিলো না। আমরা এটা জোর দিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত বিএনপি রাজি হয়েছে। তারপরে তারা একটা জটিলতা করার চেষ্টা করছে।’

আরও পড়ুন:

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।’

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারি প্রসঙ্গে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আইনে ব্যত্যয় না হলে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারি করবেন প্রধান উপদেষ্টা। রাষ্ট্রপতি বিশেষ আদেশ দিতে পারেন না।’

আজকের বৈঠকে প্রশাসনে নিয়োগের বিষয়ে জামায়াত তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রশাসন ও পুলিশে নিদিষ্ট দলের ৭০ শতাংশ একটি দলের পক্ষে কাজ করছে। প্রশাসনে লটারির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। জামায়াত বলেছে, লটারির পেছনে যেন কোনো ভূত না থাকে।’

সেজু