কায়সার কামাল বলেন, ‘জামায়াত ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচনকে প্রলম্বিত বা বানচাল করার চেষ্টা করছে। তারা দেশের নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। ষড়যন্ত্রটা কী? সেটা হচ্ছে-যেন গণতান্ত্রিক পরিবেশ বাংলাদেশে আর না হয়। বাংলাদেশে যেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হয়। হ্যাঁ, পিআরের দাবি থাকতেই পারে, কিন্তু যাদের দাবি আছে তাদের দাবি নির্বাচনে মেনু ফেস্টু (ইশতেহার) দিয়ে দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘যারা বিভিন্ন ঠুনকো বাহানায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছিলাম আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে। এই গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশের মানুষ গত ১৭ বছর ভোট করতে পারেনি। সারা দেশের মানুষ আজ ভোট দেয়ার জন্য অন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। এখানে যারা পিআরের কথা বলছেন, পিআরের জন্য কিন্তু দেশের মানুষ রক্ত দেয় নাই। পিআরের জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় নাই। পিআর নিয়ে যারা দাবি করছেন- তারা অনেকেই জানেন না পিআর কী জিনিস।’
কুমারী পূজা প্রসঙ্গে কায়সার কামাল বলেন, ‘কুমারী পূজা হলো নারীকে মাতৃশক্তির প্রতীক হিসেবে শ্রদ্ধা করা। হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রে আছে প্রতিটি নারীর মধ্যেই দেবীশক্তি বিদ্যমান। এই পূজার মাধ্যমে সেই শক্তিকে সম্মান জানানোর জন্য কুমারী পূজা করা হয়। স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশনে প্রথম কুমারী পূজা প্রচলন করেন। এই দুর্গাপূজার মধ্য দিয়ে সবার মধ্যে সম্প্রীতি বিরাজমান হোক। আমাদের এই দেশ অসাম্প্রদায়িক। এখানে সকল ধর্মের মানুষেরই শান্তিতে বসবাস করার অধিকার রয়েছে।’





