নেত্রকোণায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে র‌্যাব-১৪ অধিনায়ক

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে র‌্যাব
পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে র‌্যাব | ছবি: এখন টিভি
0

নেত্রকোণায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ১৪-এর অ্যাডিশনাল ডিআইজি অধিনায়ক নয়মুল হাসান। এসময় র‌্যাব সদস্যরা মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

আজ (মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মহাঅষ্টমীর আনুষ্ঠানিকতা দেখতে নেত্রকোণা পৌর শহরের সাতপাই শ্রী শ্রী সর্বব মঙ্গলা দেবী কালি মাতার মন্দির প্রাঙ্গণে আসেন র‌্যাব ১৪ এর অ্যাডিশনাল ডিআইজি অধিনায়ক নয়মুল হাসান। ঘুরে দেখেন মন্দিরের বিভিন্ন মণ্ডপ। এ সময় মন্দির কর্তৃপক্ষের মাঝে উপহার তুলে দিয়ে শারদীয় দূর্গোৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

পরে শহরের সাতপাই শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ মন্দিরেও পরিদর্শন করেন। এ সময় র‍্যাব পাশাপাশি ছিলেন নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনাজ, নেত্রকোণা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র পণ্ডিত।

আরও পড়ুন:

ময়মনসিংহ র‍্যাব ১৪ এর অ্যাডিশনাল ডিআইজি অধিনায়ক নয়মুল হাসান জানান, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন পোশাকি ডিপলয়মেন্টের চেয়ে গোয়েন্দা নজরদারিতে বেশি বিশ্বাস করে। আমরা আমাদের নজরদারি এমনভাবে বিস্তৃতি করেছি মোটামুটি সবগুলো পূজামণ্ডপগুলোতে আমাদের উপস্থিতি আছে। সেটা আমরা একটা শক্তি মনে করি। সেই সঙ্গে আমরা এবার সাইবার পেট্রোলিং ভালোভাবে করতেছি যাতে করে কোন রকম গুজব, মিথ্যা ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন অস্থিরতা সৃষ্টি না করতে পারে। এই বিষয়ে আমাদের প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়ন এবং র‍্যাব হেডকোয়ার্টার সাইবার পেট্রোলিংয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ একটি সম্প্রীতির দেশ, এখানে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিষ্টান যেন একটা বৈচিত্র্যময় পরিবেশে তাদের উৎসব উদযাপন করতে পারে সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। যেন পূজা উদযাপন করে নিরাপত্তা বোধ করে, নিরাপত্তাই আমাদের কাছে প্রায়োরিটি। আমাদের কাছে কোনো শঙ্কা নেই। কোনো ধরনের শঙ্কাবোধ করছি না। সবজায়গায় আমাদের স্পেশাল ডিপ্লয়মেন্ট থাকবে। এরিয়াল সার্ভিলেন্স থাকবে, ড্রোন থাকবে এবং বিশেষ বিশেষ জায়গায় আমরা স্নাইপার নিয়োজিত রাখবো।

এদিকে জাঁকজমকপূর্ণভাবে নেত্রকোণায় পালিত হচ্ছে শারদীয়া দুর্গা উৎসব। গতবারের তুলনায় এবার আয়োজন বেশি হওয়ায় পূজারী ভক্ত দর্শনার্থীরাও নির্বিঘ্ন উদযাপনে খুশি।

সকাল থেকে মন্দিরগুলোতে মহাঅষ্টমিতে নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পূজার আরম্ভ হয়। দুর্গা উৎসবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মন্দিরগুলোতে ১০৮টি পদ্ম ও ১০৮টি প্রদীপ দিয়ে পূজার আয়োজন করেন আয়োজকরা।

পাশাপাশি কুমারী পূজায় মধ্য দিয়ে দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা আর বিশেষ প্রার্থনাও জানায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

সেজু