তিনি লেখেন, স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে সরকারি সফরে গেলে কীভাবে নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে তাসনিম জারা ও আখতার হোসেনকে হেনস্তার শিকার হতে হলো, তা স্পষ্ট হওয়া দরকার। ঘটনাটির ভিডিও দেখার পর ড. মাহদী তার পোস্টে উল্লেখ করে বলেন, ‘ওর (তাসনিম জারার) স্থানে নিজের বোনকে কল্পনা করলে যে কেউ শিউরে উঠবেন।’
তিনি আরও প্রশ্ন করেছেন—
নারী নেত্রীকে নিরাপদ রাখতে ব্যর্থতার দায় কার?
বিদেশের মাটিতে দেশের মর্যাদা কেন রক্ষা করা হচ্ছে না?
দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কেন দৃশ্যমান তদন্ত বা শাস্তির উদ্যোগ নেই?
বিমানবন্দরে বিপুল নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীদের ভুল গেটের সামনে দাঁড় করিয়ে কীভাবে প্রোটোকল ও নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত করা হলো?
ভিআইপি সফরের সময় অ্যাম্বাসিগুলোতে থাকা প্রফেশনাল প্রোটোকল টিমের ব্যর্থতা কোথায় ছিল, এটা পরিকল্পিত নাকি চরম অব্যবস্থাপনার ফল?
গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও কেন ‘ফ্যাসিবাদের দোসররা’ গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদে বহাল আছেন; তাদের কে প্রমোট করছে বা পোস্টিং ধরে রাখছে?
জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের ১০৪ সদস্যের সুবিশাল ডেলিগেশনের সরকারি ব্যয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী, এসব প্রশ্নও তিনি উত্থাপন করেছেন।
ড. মাহদী অভিযোগ করেছেন, ঘৃণিত ফ্যাসিস্ট শক্তি নিয়মিত আঘাত করছে, বিদেশে দেশের মান-সম্মান ধুলিস্যাৎ করতে চাইছে। তাই তিনি দাবি করেছেন, ঘটনাটির স্বচ্ছ ও দ্রুত তদন্ত হওয়া এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনা না হলে ‘ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর ন্যূনতম নৈতিক শক্তিও’ দেশের জন্য হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।





