সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত হলে আগামীকালই নির্বাচন দেন: রেজাউল করীম

গণসমাবেশ
গণসমাবেশ | ছবি: এখন টিভি
0

সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত হলে আগামীকালই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। আজ (সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা-১০ আসনে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন আমাদের প্রধান কর্মসূচি। কিন্তু বিদ্যমান পদ্ধতির নির্বাচনে আমরা ডামি ভোট, রাতের ভোট দেখেছি। এই নির্বাচনি ব্যবস্থা হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট জন্ম দিয়েছে। ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণিত এই পদ্ধতিতে আমরা আর কোন নির্বাচন চাই না। আমরা এমন পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই যার মাধ্যমে আর কোন ফ্যাসিস্ট জন্ম নেবে না। আপনারা জানেন সেই পদ্ধতি হলো পিআর। এ সরকারের প্রধান তিনটি অঙ্গীকার ছিলো। সংস্কার,বিচার ও নির্বাচন।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয় নাই। বরং দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হতে দেখেছি আর হাজার কোটি টাকা পাচার হতে দেখছি। হাসিনার আমলে আইয়াতে জাহেলিয়াতের বর্বরতা দেখেছি। ৫ আগস্ট আমাদের সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায় নাই, বিচারও দৃশ্যমান না। এমন বাস্তবতায় পুরনো বন্দোবস্তের নির্বাচন নিয়ে এতো মাতামাতির অর্থ কি?’

আরও পড়ুন:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘আমাদের দাবী স্পষ্ট। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে। না হলে জুলাই বিপ্লবীদের ফাঁসির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।’

এ সময় তিনি করে বলেন, ‘বিএনপির এক নেতা আমাদের সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছে তা শিষ্টাচার বহির্ভূত। তাকে বলবো, ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আমাদের কি ভূমিকা তা মির্জা ফখরুল ইসলাম বা বরকতুল্লাহ বুলু সাহেবের কাছে জিজ্ঞেস করুন।’

গণসমাবেশ থেকে ঢাকা-১০ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব আব্দুল আউয়ালের নাম ঘোষণা করে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশে অনেক দলের শাসন দেখেছে। কিন্তু ইসলামের শাসন দেখে নাই। এবার ইসলামকে সুযোগ দিয়ে দেখেন, আপনাদের হাজার বছরের লালিত আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হবে ইনশাআল্লাহ।

আলহাজ্ব আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে হাজারীবাগ ট্যানারি মোড়ে অনুষ্ঠিতই গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ ও কে এম শরীয়াতুল্লাহ প্রমুখ।


ইএ