জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের কর্মসূচি ঘোষণা

জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলন
জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলন | ছবি: এখন টিভি
0

দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে জুলাই জাতীয় সনদ অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ (সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে জুলাই জাতীয় সনদ অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ (সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জামায়াতের নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের সফল গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, তার বৈধতার মূল ভিত্তি হলো জনগণের অভিপ্রায়। কিন্তু সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।’

ডা. তাহের বলেন, ‘আমরা মনে করি, জুলাই জাতীয় সনদের আইনগত ভিত্তি প্রদান ছাড়া ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থানের অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে।’

আরও পড়ুন:

এ সময় জামায়াতে ইসলামী ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে এ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জামায়াতের পক্ষ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ১৯ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ কর্মসূচি দেশের সকল বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।

ইএ