আজ (শুক্রবার, ৭ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে অ্যারাবিয়ান খ্যাবস রেস্টুরেন্টে আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'জাতীয় ঐক্যে আলেমদের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আইন আদালতকে ব্যবহার বিগত সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান- নিজামী, মুজাহিদ ও সাঈদীসহ জামায়াতের নেতাদের মিথ্যা মামলায় যারা হত্যা করেছে, মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।’
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি স্বাধীনতার এতো বছরেও। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসলামি রাষ্ট্রের বিকল্প নেই। সে জন্য প্রয়োজন ওলামাদের এক হওয়া।’
এতে কওমী, আলিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ের আলেমরা তাদের বক্তব্যে ঐক্যের ব্যাপারে একমত পোষণ করে বলেন, 'এক্য না হলে আগামীর ময়দান হবে কঠিন।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনিও জাতীয় স্বার্থে আলেমের ঐক্যের কথা বলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'ইসলামের নামে এখন যা হচ্ছে, আজকে ঢাকায় মিছিল হলো, গত কয়েকদিন ধরে নানান বিতর্কিত কর্মসূচি হচ্ছে। যা ৫ আগস্টে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশ এবং ইসলামি চেতনার পরিপন্থি। তাই আমি আলেম সমাজের প্রতি অনুরোধ করবো এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলুন, প্রতিরোধ করুন।'
তিনি বলেন, 'ড. ইউনূস দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি প্রমাণ করেছেন এদেশে সাম্প্রদায়িকতা বলে কিছু নেই। তিনি সব ধর্মের, সব মতের, সব পথের মানুষের মধ্যে ঐক্য গড়েছেন। এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে।'