ধানমন্ডির ৯/এ, বাড়ি নম্বর ৭৮। প্রায় ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে এই বাসাতেই পৃথিবীর মায় ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান রাজনীতি , বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, দুইবারের মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান।
সুস্থ স্বাভাবিক বিএনপির এই নেতা ফজরের নামাজ পড়েন। সামান্য খেয়েছিলেনও। হঠাৎ দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের রাজপথ থেকে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি শুরু করেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। ছাত্র জীবন শেষে ন্যাপে যোগ দেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী ১০ বছর দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেন বর্ষীয়ান এই নেতা।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাত ধরে ১৯৮১ দলটিতে যোগ দেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। পরে ১৯৯১ ও ২০০১ এ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন । বর্ণিল রাজনৈতিক জীবনে কখনও আপোষ করেননি। দলীয় নেতা থেকে তিনি জাতীয় নেতাতে পরিণত হয়েছিলেন মন্তব্য করেন দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু চট্টগ্রাম নয় সারা বাংলাদেশে কাছে প্রিয় নাম ছিল আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি এই রাজনীতি ত্যাগ শিকার করেছেন, বহুবার জেলে গিয়েছেন অসংখ্য মামলার আসামি হয়েছেন। এমনকি শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। আব্দুল্লাহ আল নোমানের অবদান বাংলাদেশের মানুষ কখনোই ভুলবে না।’
রুহল কবির রিজভী বলেন, ‘তার মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের খুব প্রয়োজন ছিল এই মুহূর্তে বেঁচে থাকার। যাই হোক আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন।’
বিএনপির রাজনীতির বাইরে রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করা দীর্ঘ দিনের সহযোদ্ধারাও ছুটে আছেন এসময়।
হোসাইন জিল্লুর বলেন, ‘উনাদের মতো রাজনীতিবিদ খুব প্রয়োজন তৃণমূলের সঙ্গের সম্পৃক্ততা দরকার, দেশবাসির জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে যাওয়া দরকার এবং শুধু কথা নয় সুনির্দিষ্ট কিছু অর্জন যাতে আমাদের এই রাজনীতিবিদদের মাধ্যমে আসতে পারে।’
বাবার রাজনৈতিক জীবনের স্বর্ণালি যুগ তুলে ধরেন একমাত্র ছেলে। বলেন, বাবা ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান।
সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘তিনি পুরো দুস্তর রাজনীতি। শেষ পর্যন্ত তার আশা ভরসা ধ্যানজ্ঞান মন সবই ছিল রাজনীতি ঘিরে। চারদিকে আগে বললেন আমি আপা ও তারেক জিয়াকে দেখতে যাবো। এজন্য আমরা পাসপোর্ট করতে দিলাম আমরা। আমাকে বললো তুমি সহ যাবো।’
পৃথিবী ছেড়ে বিদায়ের সময় সহধর্মিণীর পাশাপাশি ১ ছেলে ১ মেয়ে রেখে গেছেন।