মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সমঝোতার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় পরিকল্পিতভাবে ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করে। আমরা নিহতদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ও তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। সেই সাথে তাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে হত্যা করে মূলত দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলার ষড়যন্ত্র করে। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার এই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনায় অনেক নিরীহ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়ে কারাগারে আটক রাখে। অনেকে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্রের কারণে তাদের মুক্তি মেলেনি।’
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন ‘গত আগস্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারের পতন ঘটে। দেশ আজ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করেছে। জনগণ ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সেনা হত্যার নির্মম ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে চায়। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আবারো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে এই নির্মম ঘটনার ‘প্রকৃত রহস্য’ উদ্ঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি ‘
তিনি বলেন, ‘যেসব নিরীহ-নিরপরাধ ব্যক্তি কারাগারে আটক আছেন তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। এ উপলক্ষ্যে সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি।’