উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিকেল থেকে ঐ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানায়, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে টানা কয়েকদিন ধরেই আশাশুনি উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার উপজেলার পদ্ম বেউলা সাইক্লোন শেল্টার স্কুল মাঠে বুধহাটা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্মেলন স্থলে দু'গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর আগেও দু'গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আশাশুনি সদর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আহতদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইয়াছির আরাফাত পলাশকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধহাটা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম বলেন, 'আমরা সম্মেলন করছিলাম। অন্য গ্রুপ বাধা দিলে দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন।'
আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মশিউল হুদা তুহিন বলেন, 'এ মুহূর্তে আমরা কোনো বক্তব্য দিচ্ছি না, পরে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের বক্তব্য আমরা তুলে ধরব।'
বিএনপির জাকির হোসেন বাবু বলেন, 'কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা অমান্য করে তারা কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। আমাদের পক্ষ থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইফতেখার আলী ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক স ম হেদায়েতুল ইসলামকে নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হওয়া ক্ষোভের বিষয়টা জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো অবস্থায় বিষয়টা আমলে নেননি। দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়। উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।'