মেধা-মননের উর্বরভূমি বাংলাদেশ হয়ত থাকতো উন্নত বিশ্বের কাতারেই। কিন্তু এদেশের সমৃদ্ধি বারবার আটকে গেছে ক্ষমতালোভী শাসকের হাতে। যারা বারবার মুখ ও গলা চেপে ধরেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান লেখক, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের।
একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার মধ্যদিয়ে পাকিস্তানি শাসকরা যেভাবে বাঙালি জাতিকে মেধাহীন করতে চেয়েছে, একইভাবে গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরশাসন পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাশূণ্য করার ঘৃণিত চেষ্টা চালিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘একটা সিস্টেমিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের সম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের প্রকল্প নেয়া হয়। যার মধ্যে তারা সত্যি সত্যি সফল হয়। নাম্বার বাড়িয়ে দেয়া, প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেয়া, পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে দলীয়করণ করা।’
শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফিরে বুদ্ধিজীবীদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে জাতি গঠনের প্রস্তুতি নেবার আহ্বান জানান বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা মঈন খান।
ড. মঈন খান বলেন, ‘এবার টার্গেট করা হয়েছিল যারা একদিন এইসব পদে যাবে। উদীয়মান ছাত্রদের টার্গেট করা হয়েছিল।’
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আলোচনায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আহ্বান জানান, একাত্তরের মতো ২৪ এর অভ্যুত্থানের ইতিহাস যেন বিকৃত না হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছর যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। একাত্তরের মতো ২৪ এর অভ্যুত্থানের ইতিহাস যেন বিকৃত না হয়।’
অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপিসহ অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
নির্বাচন অনুষ্ঠানে দেরি হলে দেশের জনগণ আবারো ক্ষতির মুখে পড়তে পারে শঙ্কা জানিয়ে বিএনপি নেতারা বলেন, আসন্ন নির্বাচন ও পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্রকে সংস্কৃতিতে রূপান্তর করাই হবে দলের মূল লক্ষ্য।