জুলাই অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার আহত ও গুলিবিদ্ধ অনেকে এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। আমরা বিএনপি পরিবার নামক সংগঠনের উদ্যোগে আজ(শনিবার, ৭ ডিসেম্বর) তাদের দেখতে যান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রাজধানীয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রোগীদের দেখতে এসে বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি পলাতক স্বৈরাচার রক্ষায় ভারতসহ যারা মায়াকান্না করছে তাদেরও সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে পলাতক স্বৈরাচারের জন্য মায়া কান্না করছেন পার্শ্ববর্তী দেশের রাজনীতিবিদরা ও নীতিনির্ধারকরা। বিশেষ করে সে দেশের মিডিয়া লোকরা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে আন্দোলনের সময়ে এ অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত যারা নির্দেশ দিয়েছেন সকলের বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের রক্ষার চেষ্টা করবে তারাও স্বাধীনতা বিরোধী।’
এদিকে ভারতের সম্প্রতি ঘটনার সূত্র ধরে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে ভারত।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উদোগ্যে যখন ভালো একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা হতে যাচ্ছে, তখন পার্শ্ববর্তী দেশ সেই নির্বাচন ভন্ডুল করে। বিএনপি যাতে আগামী দিনে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে না পারে, সেই চেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপচেষ্টাকে আমাদের রুখে দিতে হবে।’
অপরদিকে আগরতলায় হাই কমিশনে হামলা প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবে যুব সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আগামীদিনে লড়াই আরও কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশকে শোষণ করতে চায়, তা দেশের মানুষ মেনে নিবে না। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা জনগণ নয়, ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছিল ভারত। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতি আর তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না বলে ভারত নানা ষড়যন্ত্র করছে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের পৃথক আরেকটি আলোচনা সভায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ। বলেন, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সংস্কার আপনারা শুরু করেন আপনারা শেষ না করতে পারলে, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সে সংস্কারকে সমাপ্ত করবে। তাই সংস্কারের উছিলা দিয়ে ক্ষমতায় থাকাটা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। অগ্রাধিকার থাকা উচিত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া।’
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে ভারতীয় রাজনৈতিক ও গণমাধ্যমের অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান বিএনপি নেতাদের।