শাহজাহানপুর উপজেলার শাহনগর, বড় পাথার ও কামারপাড়া গ্রাম পরিচিত চারা তৈরির গ্রাম হিসেবে। শাহনগর গ্রাম থেকে পাশের মাঠগুলোর যে দিকে চোখ যায় সেখানেই দেখা মিলে পলিথিন মোড়ানো ক্ষেত আর চারা উৎপাদনে কৃষকের ব্যস্ততা।
সামনে শীতকাল তাই শীতকালীন সবজির চারা সময়মত সরবরাহের দায়িত্ব যেন তাদের হাতে। অনেক সবজির চারা পুষ্ট হওয়ায় বিক্রির কাজও চলছে। তবে এখানকার কৃষি সম্প্রসারণের তদারকি, ভাল বীজ, কীটনাশকের প্রয়োজনীয়তার দাবি তুলে ধরেন কৃষকরা।
চারা উৎপাদনকারি চাষিদের একজন বলেন, 'ভারত থেকে বীজ আমদানি করে আনতে হয়। সরকারের ট্যাক্সের ঝামেলা আছে।'
আরেকজন বলেন, 'আমরা জমিতে যে কীটনাশক ব্যবহার করি তা যদি আরও উন্নতমানের হয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়।'
প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয় চারা বেচা কেনা। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে আসা ক্রেতারা জানান উচ্চফলনশীল জাত ও চারার গুনগত মান ভালো হওয়ায় চারা কিনতে এখানে আসেন তারা। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব চারা যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ জেলায়।
চারা ক্রেতাদের একজন বলেন, 'চারার দাম আগে কম ছিলো এখন আবার বেড়ে গিয়েছে।'
চারা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভাল বীজ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সমিতির মাধ্যমে বীজ যাচাই এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেয় এখাকার চারা উৎপাদনকারী সমিতি। সমিতির আওতাভুক্ত ১৬০টি নার্সারিতে বীজের জোগান দেয় নার্সারি মালিক সমিতি।
শাহনগর সবজি নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি উজ্জ্বল হোসেন বলেন, 'দুই থেকে তিন বছর বীজের ট্রায়াল দেয়ার পর কোম্পানি থেকে সমিতিতে বীজ নেয়া হয়। এর এখান থেকেই সব চাষিদের বীজ দেয়া হয়।'
এই নার্সারিগুলোতে ভাল বীজ সংগ্রহ, বিপণনসহ নার্সারি মালিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক নাজমুল হক মন্ডল বলেন, 'কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে চাষিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হয় থাকে।'
জেলার শাজাহানপুর উপজেলাসহ অন্যন্য উপজেলা থেকে উৎপাদিত প্রায় ৩০ কোটি চারার মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা।