কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

বাজারে উঠেছে মৌসুমের প্রথম আম

দেশের বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমের প্রথম আম। সাতক্ষীরায় বাগান থেকে আম নামানো শুরুর পর ঝুড়িতে যাচ্ছে বড় বাজারে। এরপর নিলামে বেচাকেনার পর নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন প্রান্তের পাইকাররা। প্রথমপর্যায়ে পাড়া হচ্ছে বোম্বাই, গোলাপখাস ও গোবিন্দভোগ।

আবু সুফিয়ান নামে এক কৃষক সংগ্রহের প্রথম দিনে ৫০ টাকা কেজি দরে আম বিক্রি করছেন। যা গত বছরের তুলনায় ২০ টাকা বেশি। গেল বছর আমের ফলন ভালো হলেও দাম ছিল কম, তাই লোকসান গুণতে হয়েছিল ১০ লাখ টাকা। তবে এবার সে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন।

তিনি বলেন, 'আমরা যারা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করি, আমাদের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু সব মিলিয়ে সাতক্ষিরার আমের ফলন খুব বেশি ভালো না। গত বছর আমাদের প্রচুর আমাদের হইছিল কিন্তু আমরা দাম পাইনি। সে হিসেবে এ বছর আম কম হলেও লাভ ভালো হবে।'

প্রথম দিনে গাছ থেকে পাড়া হয় মুম্বাই, গোলাপ খাস ও গোবিন্দ ভোগ আম। সুস্বাদু এই আম পৌঁছে যায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের ভোক্তাদের হাতে।

বিভিন্ন বাগান থেকে পাড়া আম সকাল ১০টা বাজতেই পৌছে যায় জেলার পাইকারি বাজারে। শুরু হয় বিক্রেতারদের হাকডাক। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা আসেন আম কিনতে। তবে মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেটের কারণে ৫০ টাকার আম সেখানে বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।

এ বিষয়ে অভিযানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমেদ।

তিনি বলেন, 'ব্যবসায়ীরা যদি আমাদের দেয়া শিডিউল মেনে চলেন তাহলে দেশের মানুষ সুস্বাদু আম খেতে পারবে। ভোক্তা ও কৃষকের মাঝে দূরত্বটা আমরা কমানোর চেষ্টা করছি।'

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, 'এবারে জেলায় ৫০ হাজার টন আম পাওয়া যাবে। এতে বাজারে আমের সরবরাহ সংকট হওয়ার কোনো সম্ভবান নেই।'

চলতি বছর সাতক্ষীরা জেলায় ৪ হাজার ২২৪ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে পাওয়া আমের বাজার মূল্য ২৬০ কোটি টাকা।