বৈশাখের খরতাপে চারপাশের খা খা অবস্থা। উত্তাপে পুড়ছে পিচ ঢালা পথ। বৈশাখের এ দাবদাহে স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি খরচ করেও ঝরে যাচ্ছে কৃষকের বাগানের লিচু।
এমন অবস্থায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে মাগুরার হাজরাপুরের হাজারও লিচু চাষির। অন্তত ৩০টি গ্রামের ২ হাজার কৃষকের প্রধান আয়ের উৎস লিচু বাগান। বছর জুড়ে কিভাবে চলবে সংসার তা নিয়ে দুশ্চিন্তায়। সমস্যা সমাধানে কৃষি বিভাগ থেকেও সহায়তা না পাওয়ার অভিযাগ তাদের।
চাষিরা বলেন, কৃষি অফিসের কেউ আমাদের খোঁজ-খবর নেন না। গরমের কারণে লিচুর গুটি ঝরে যাইতেছে। বাজারেও সঠিক দাম পাওয়া যাবে না। এই লিচু বিক্রি করারও নিশ্চয়তা নাই। বৃষ্টি না হইলে আমাদের পথে বসতে হইবে।
আমের বাগানেও নেই সুখবর। আবহাওয়ার কারণে এবছর মুকুল এসেছে কম। খরায় ঝরে যাচ্ছে অধিকাংশ গাছের গুটি।
তবে লোকসান কমাতে চাষিদের নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. ইয়াসিন আলী।
তিনি বলেন, 'ফলন গত বছর যথেষ্ট ভালো ছিল। সে হিসেবে হয়তো এবার কোন কোন গাছে মুকুল একটু কম আসছে। এতে ভয়ে কোন কারণ নাই। আমরা কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।'
জেলায় এ বছর ৭৬৫ হেক্টর জমিতে লিচু ও ১ হাজার ৫১১ হেক্টর জমিতে আমবাগান করা হয়েছে। যেখান থেকে অন্তত ৬ হাজার ৫০ টন লিচু ও ২১ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে আবহাওয়ার কারণে ফলন বিপর্যয়ে অন্তত ১শ' কোটি টাকা লোকসানের শঙ্কায় কৃষক।