জেলার চারোখুড়া গ্রামে বিদেশি শস্য কিনোয়া চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কৃষক আমিনুর রহমান। ইউটিউব দেখে এ ঔষধি গুণসমৃদ্ধ ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। গতবছর পরীক্ষামূলক একবিঘা জমিতে চাষ করে ভালো লাভ হওয়ায় এবার করেছেন ১২ বিঘা জমিতে। কম খরচে সহজেই উৎপাদন করা যায় বলে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন এ ফসল চাষে। আমিনুরের কাছ থেকে বীজ নিচ্ছেন অনেকেই।
প্রতি বিঘা জমিতে কিনোয়া চাষে খরচ হয় মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে উঠে ফসল। বিঘায় উৎপাদন হয় ৬ থেকে ৮ মণ কিনোয়া। যা বাজারে বিক্রি হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে। এতে প্রতি বিঘায় অন্য ফসলের তুলনায় লাভ হচ্ছে অন্তত পাঁচগুণ বেশি।
কিনোয়া চাষি আমিনুর রহমান বলেন, 'এবার আমি ১২ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। এবারেও ফলন ভালো, খরচ তেমন লাগে না। একবিঘা জমিতে ৮ মণ ফলন পেয়েছি।'
কিনোয়াতে প্রোটিনসহ রয়েছে বহু পুষ্টিগুণ। এটি খাবারের তালিকায় রাখেন নভোচারীরাও। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এ সুপার ফুডের চাষ বাড়ানোর আশা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন। বলেন, 'এখানে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। এটি সুপার ফুড হিসেবে বিবেচিত। উত্তরাঞ্চলে এর ফলন ভালো হচ্ছে।'
স্থানীয়ভাবে এর উৎপাদন বাড়ানো গেলে আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।