কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

শেরপুরে রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

স্বাদ, স্বাস্থ্যগুণ ও বাজারদর ভালো হওয়ায় দিনদিন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ বাড়ছে শেরপুরের চাষিদের। চলতি বছর এ জেলায় ১৩ হেক্টর জমিতে সবজিটির আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, অন্য জাতের তুলনায় এতে উৎপাদন খরচ অনেকটাই কম।

শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মান্নান। গতবছর ১ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করেন। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এ বছর ৩ বিঘা জমিতে এ সবজির আবাদ করেছেন।

তিনি জানান, এবার ৩ বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। যেখানে তিনি এখন পর্যন্ত ২ লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন।

প্রতিবেশী আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ১ বিঘা জমিতে প্রথমবার রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন কৃষক আনিসুর রহমান। এতে তার খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। তার আশা, সবমিলিয়ে ৯০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করতে পারবেন।

ভ্যালেন্টিনা ও ক্যারোটিনা জাতের কপির বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। অন্যান্য জাতেরগুলো যেখানে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হয়, সেখানে এটির দর ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

কৃষকরা বলেন, 'এবার ৩ বিঘা জমিতে চাষ করছি। সামনের বার ৪-৫ বিঘা লাগামু। স্থানীয় বাজার ও ঢাকা-চট্টগ্রামে এটার ভালো চাহিদা আছে। প্রতি কপি ৫০-১০০ টাকা বিক্রি করা যায়।'

চারা রোপণের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর সবজিটি বিক্রি যোগ্য হয় । রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধুমাত্র জৈব সার দিয়েই চাষ করে দ্বিগুণ লাভ করা সম্ভব। এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় অন্যান্য কৃষকেরা।

আবাদ বাড়াতে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোসলিমা খানম নিলু।

তিনি বলেন, 'চাষিরা নিজ থেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্যাপক আকারে আবাদ করছেন। উনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করে থাকেন। আমরাও তাদের সার্বিক সহযোগিতা করে থাকি। এটা অনেক সম্ভাবনাময় একটা ফসল।'

বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন নতুন সবজি চাষে কৃষকের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। যারই ধারাবাহিকতায় শেরপুরে ১৩ হেক্টর জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, রঙিন ফুলকপিতে রয়েছে আয়রন ও ক্যালসিয়াম। এছাড়া যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তা ক্যান্সার প্রতিরোধক।