বাজার , কাঁচাবাজার
দেশে এখন
0

মসলার হাট নামে খ্যাতি পেয়েছে শরীয়তপুরে কাজীর হাট

দেশের বিখ্যাত মসলার হাট নামে খ্যাতি পেয়েছে শরীয়তপুরের কাজীর হাট। সপ্তাহে দুইদিন কেনাবেচা হয় মসলা জাতীয় শস্য দানা। প্রতি হাটে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

কাক ডাকা ভোর থেকেই কৃষক, ক্রেতা আর পাইকারের উপস্থিতিতে জমজমাট কাজীরহাট বাজারের মসলারহাট। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে ক্রেতা বিক্রেতার উপস্থিতিও। বিভিন্ন যানবাহনে করে নিয়ে আসেন মসলা জাতীয় ফসল। শুরু হয় কেনাবেচা। ক্রেতা আর পাইকারের মধ্যে চলে দর কষাকষি। সপ্তাহে দুইদিন রবি ও বৃহস্পতিবার মসলার হাট বসে দেশের বিখ্যাত এ বাজারে।

কালোজিরা, ধনিয়া, শুকনা মরিচ, মেথি, তিল ও তেল জাতীয় শস্যদানা সরিষার কেনাবেচার জন্য হাটে বিশাল খোলা স্থান। সেখানেই সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে উচ্চ মূল্যের বিভিন্ন শস্যদানা। স্থানীয় কৃষক ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা নিয়ে এসেছেন এসব পণ্য।

বাজারে রয়েছে সরকারি বেসরকারি বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ওয়ান স্টপ সার্ভিস। তাই নিরাপদে হচ্ছে অর্থের আদান প্রদান। হাটে নেই চাঁদবাজি, নেই কোন ঝুটঝামেলা। স্বস্তিতেই কেনাবেচা করতে পেরে খুশি হাটে আসা ব্যবসায়ীরা।

কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বলেন, সারাদেশের মধ্যে এই হাটের মসলার মান সবচেয়ে ভালো। তাই এখান থেকে সবাই মসলা কিনে বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করে। প্রতি বৃহস্পতি ও রোববার হাটে ২০-৩০ কোটি টাকা বিক্রি হয়। কালোজিরার চাহিদা অনেক বেশি। এখানে সবাই কেনাকাটা করে শান্তি পায়। আসা যাওয়ার রাস্তাঘাট ভালো।

খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিক্রির জন্য যেমন পণ্য নিয়ে আসেন পাইকাররা। তেমনি ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের মতো বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পণ্য কিনতে আসেন ক্রেতারা। পণ্যের মান, হাটের নিরাপত্তা, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় হাটের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

মসলা হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু সিদ্দিক বলেন, 'এই হাটে কোন হয়রানি ও চাঁদাবাজি নাই। হাট কমিটির সবাই চায় যাতে ভালো মতো বেচাবিক্রি হয়। কারও যেন সমস্যা না হয়, কর্তৃপক্ষ সেই চেষ্টাই করে।'

প্রতি হাটে ৫০০ থেকে ৬০০ টন মসলা জাতীয় ফসল বিক্রি হয়। সারা বছরজুড়ে কাজীর হাটে মসলা বিক্রি হলেও এপ্রিল, মে ও জুন এই তিনমাস মসলা কেনাবেচার ভরা মৌসুম। এ সময় লেনদেন হয় অন্তত হাজার কোটি টাকা।